অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনঃ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জনপ্রতিনিধি ১,৫৭৬ জন


বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জে প্রচারণার দৃশ্য। (ছবি- মাহমুদ হোসেন অপু/এপি)
বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জে প্রচারণার দৃশ্য। (ছবি- মাহমুদ হোসেন অপু/এপি)

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ১,৫৭৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, তাদের প্রায় সবাই ক্ষমতাসীন দলের।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, পাঁচ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৩৫৪ জন, সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য ৮৫৮ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য ৩৬৪ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ ধাপ এবং এর পরে বিচ্ছিন্নভাবে হতে যাওয়া বাকি সব ইউনিয়নের নির্বাচনে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

দেশে ইউপি নির্বাচনের ইতিহাসে বিনা ভোটে এত বিপুল সংখ্যক জনপ্রতিনিধি হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম।

এর আগে ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন ২১৭ জন। ১৯৯৭ সালের নির্বাচনে ৩৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

ওদিকে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তা রাষ্ট্রকাঠামোর জন্য ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

মঙ্গলবার সকালে নগরের সার্কিট হাউজে আয়োজিত চতুর্থ দফা ইউপি নির্বচান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় তিনি বলেন, "বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হওয়ায় একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। আমাদের চিন্তা করতে হবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন করলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি কিনা। ভবিষ্যতে যারা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে আসবেন তারা নিশ্চিয় বিষয়টি ভেবে দেখবেন। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচনকে উৎসাহিত করা সেটা বোধহয় সম্ভব নয়, সমীচীনও নয়।"

XS
SM
MD
LG