অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

৭ কোটি ৩৫ লাখ ভারতীয় জাল রুপিসহ জালিয়াত চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার হলো ঢাকায়


ভারতীয় মুদ্রা
ভারতীয় মুদ্রা

ঢাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ভারতীয় জাল রুপিসহ জালিয়াত চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গুলশান বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—ফাতেমা আক্তার অপি ও শেখ মো. আবু তালেব।

শুক্রবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত ও ডেমরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, খিলক্ষেতের বনরূপা আবাসিক এলাকার মেইন গেইটের সামনে একজন নারী ভারতীয় জাল রুপিসহ অবস্থান করছেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা আক্তার অপিকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানার পণ্ডিতপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে আরও ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ডেমরার সারুলিয়া এলাকা থেকে জালিয়াত চক্রের অপর সদস্য শেখ মো. আবু তালেবকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিসি আসাদুজ্জামান বলেন, ফাতেমা আক্তার অপি আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন যাবত পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করে দেশীয় চক্রের মাধ্যমে বিপণনসহ ভারতে পাচার করতেন।

গত ২৩ নভেম্বর আবু তালেব উদ্ধারকৃত ভারতীয় জাল মুদ্রা ফাতেমা আক্তার অপির কাছে হস্তান্তর করেন। তালেব পাকিস্তানি নাগরিক সুলতান ও শফির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আমদানিকৃত মার্বেল পাথরের ৫০০টি বস্তার মধ্যে গোলাপি সুতায় চিহ্নিত ৯৫টি বস্তার ভেতরে করে সুকৌশলে ভারতীয় জাল মুদ্রা শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।

দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে চক্রটি এই কারবারের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে ডিসি আসাদুজ্জামান বলেন, ফাতেমা পাকিস্তানি নাগরিক সুলতান ও শফির কাছ থেকে এসব জাল মুদ্রা সংগ্রহ করতেন। ফাতেমা ও তালেব এসব জাল রুপি ঢাকার বাসার পানির ট্যাংকের নিচে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখতেন। পরে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সুযোগ সুবিধামতো ভারতে পাচার করে দিতেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ফাতেমা আক্তার অপির স্বামী দানেশ পাকিস্তানি নাগরিক। অসুস্থ হয়ে তিনি এখন বাসায় থাকেন। তাকে কয়েক বছর আগে ডিবি মতিঝিল বিভাগ তাকে গ্রেফতার করেছিল, তার নামে দুটি মামলাও আছে। এছাড়া, আবু তালেবের পাকিস্তানে যাতায়াত ছিল। স্বামী পাকিস্তানি হওয়াতে ফাতেমাও অনেকবার পাকিস্তান গেছেন। এ সূত্রেই জাল রুপি চক্রের হোতা সুলতান ও শফির সঙ্গে তাদের পরিচয়, পরে তারাও এ চক্রে জড়িয়ে পড়েন।

ফাতেমা ও তালেবের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামিদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ডিসি আসাদুজ্জামান।

XS
SM
MD
LG