মিনেসোটায় জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে এক অদ্ভূৎ পরিবেশ। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ।
একদিকে মানুষ কোভিড-১৯ এর ভয়াল বিস্তারে শংকিত আতংকিত। তার ওপর হঠাৎ করে উদ্ভুত এই পরিস্থিতে সকলেই স্তম্ভিত।
২৫শে মে মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েড পুলিশের হাতে বন্দী হন। হাতকড়া পরা অবস্থায় ফ্লয়েড়ের ঘাড়ে হাটু দিয়ে মাটির সঙ্গে অনেক্ষন চেপে ধরে রাখেন অফিসার। ফ্লয়েড বারবার বলেন নি:শ্বাস নিতে পারছি না। তার পরও অফিসার তাকে চেপে রাখেন। এতেই হয়তো তার মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগ তুলে ঐ আফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ববস্থা নেয়ার দাবীতেই মূলত শুরু হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। পরে তা বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ছোট বড় সকল রাজ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে।
রাজধানী ওয়াশিংটনের মূল কেন্দ্রগুলোতে ২৫শে মের পর থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হোয়াইট হাউজ, ক্যাপিটল হিলসহ জাতীয় স্থাপনাগুলোর আশে পাশে জড়ো হন অসংখ্য প্রতিবাদকারী। ফ্লয়েড হত্যার বিচার, ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারসহ নানা স্লোগান দেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের নানা স্থানে প্রতিবাদকারীরা সহিংস আচরণ করে। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন রাজ্যে গ্রেফতার হয় বহু মানুষ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে প্রশাসন ন্যাশনাল গার্ড তলব করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ডের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার প্রশংসা করে।
রবিবার রাতে বিভিন্ন রাজ্যে ও শহরে বিক্ষোভের পর টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, এই অবস্থাকে উস্কে দেয়ার জন্যে “ANTIFA-led anarchists” কে দায়ী করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই চলমান অবস্থায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। জার্মানী, বৃটেন, ব্রাজিল, ক্যানাডা, চীনসহ বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোর সামনে প্রতিবাদ করেছেন মানুষেরা। ফ্লয়েড নিহত হওয়ার তদন্ত ও যুক্তরাষ্ট্রে চলমান প্রতিবাদের সমর্থন করেছেন।