অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঢাকার আসন্ন শান্তি সম্মেলনের ওপর ওমিক্রনের প্রভাব


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের সম্মেলনের বিষয়ে ব্রিফ করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের সম্মেলনের বিষয়ে ব্রিফ করছেন।

ঢাকায় আসন্ন শান্তি সম্মেলনেও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ছায়া ফেলেছে।৫০টি দেশকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোহয়েছিল।কিন্তু বাদ সেধেছে ওমিক্রন। বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেবেন।ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকা অঞ্চলের প্রতিনিধিদেরকে এই সম্মেলনে না আসার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ৩০টির বেশি দেশ থেকে ৫৯জন প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশ নেবেন। ইউরোপ থেকেও সশরীরে কেউ উপস্থিত হতে পারছেন না। তারা অবশ্য ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেবেন।

আগামী ৪ঠা ও ৫ই ডিসেম্বর ঢাকায় এই শান্তি সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরজন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে ঢাকায় দুইদিনের এই শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ৪০ জন অতিথি ভার্চ্যুয়ালি সম্মেলনে যুক্ত হবেন।এর মধ্যে রয়েছেন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, আরব লীগের সাবেক মহাসচিব আমর মূসা, বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী চেরি ব্লেয়ারসহ উল্লেখযোগ্য কয়েকজন অতিথি।

সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিতে বিশ্বাসী। সে কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোরসঙ্গে সমস্যা আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করেছি। আমরা কোনো গুলি ছাড়াই শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি।

সম্মেলনকে সফল করার জন্য স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীকে সভাপতি ওপ্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদকে সদস্য সচিব করে গত মার্চেই ৪৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় কমিটি গঠন করাহয়। বলা হয়েছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণে বঙ্গবন্ধু’র নিবেদিত ভূমিকা এবং তার দর্শনের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংবিধান ও পররাষ্ট্রনীতিকে বিশ্বপরিমণ্ডলে পরিচয়করার ক্ষেত্রে এই সম্মেলন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। বিশ্বে উজ্জ্বল হবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি।

১৯৭৩ সনে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে প্রেরিত এক বার্তায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বিশ্বে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও বর্ণ বৈষম্যের শিকড় সমূলে উৎপাটন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন অস্ত্রের ঝনঝনানি কেবল শান্তির পথে অন্তরায় নয়, বরং অপ্রতুল সম্পদের বিরাট অপচয়।

উল্লেখ্য যে, ১৯৭২ সালের ১০ই অক্টোবর পৃথিবীর ১৪০টি দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তিপদক দেয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়।১৯৭৩ সনের ২৩শে মে ঢাকায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ওই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু জুলিও কুরি শান্তি পদক গ্রহণ করেন।

XS
SM
MD
LG