অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দ্বিতীয় ডোজ টিকার মাত্র সাতদিনের মজুত আছে বাংলাদেশে


দ্বিতীয় ডোজ টিকার মাত্র সাতদিনের মজুত আছে বাংলাদেশে
দ্বিতীয় ডোজ টিকার মাত্র সাতদিনের মজুত আছে বাংলাদেশে

দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার মতো মাত্র সাতদিনের টিকা মজুত আছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এটা নিশ্চিত করেছেন।  

দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার মতো মাত্র সাতদিনের টিকা মজুত আছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এটা নিশ্চিত করেছেন। প্রায় ১১ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। এরপর কী হবে সেটাও অনেকটা অনিশ্চিত। কারণ কোনো সূত্র থেকেই টিকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই।

প্রথম ডোজ অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে টিকা পাওয়া যাবে এমন সম্ভাবনা আপাতত নেই বললেই চলে। যদিও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, টিকা নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ ও হাহাকারের মধ্যে প্রতিবেশীদের দিকে দৃষ্টি দেবে দেশটি।

দ্বিতীয় ডোজ টিকার মাত্র সাতদিনের মজুত আছে বাংলাদেশে
please wait

No media source currently available

0:00 0:02:04 0:00
সরাসরি লিংক

ক’দিন আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টিকা চেয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিপুল পরিমাণ টিকা যুক্তরাষ্ট্রে অব্যবহৃত রয়েছে। সেখান থেকে কিছু দেয়া যায় কিনা সেটাও বলেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বলা হয়েছে, তাদের কাছে বাড়তি এমন কোনো টিকা নেই যেখান থেকে বিশ্বকে দেয়া যেতে পারে। চীন থেকে উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই টিকা কীভাবে ব্যবহার হবে তা নিয়ে বৈঠকের পর বৈঠক চলছে। টিকা মিক্সিং করে দেয়া যাবে কিনা, এর গবেষণা এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। এক কথায় বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। এই যখন অবস্থা তখন ঘন ঘন সরকারি সিদ্ধান্ত বদলে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্য দপ্তর বলেছে, যারা ঈদে বাড়ি গিয়েছিলেন তারা যেন অন্তত ১৪ দিনের মধ্যে ঢাকায় না আসেন। অথচ গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছিল ঈদের সময়টাতে। রোববার থেকে দূর পাল্লার বাস চালু হয়ে গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। প্রায় এক কোটি মানুষ ঢাকা ছেড়েছিলেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যারা বাড়ি গিয়েছিলেন তারা যদি এক সঙ্গে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেন তাহলে বিপদ হবে। তাই তাদের অনুরোধ, সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করুন।

ঈদের ছুটির মধ্যেও মৃত্যুর মিছিল থামেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১৪৯ জন মারা গেছেন। সংক্রমণও বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৩ জনের শরীরে ভাইরাসটি বাসা বেঁধেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে প্রায় তিনগুন বেশি।

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী

XS
SM
MD
LG