শুরুতে করোনাভাইরাস টিকার ব্যাপারে বাংলাদেশে যে আগ্রহ ছিল নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর তা অনেকটাই কমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা অনেকখানি দায়ি।
সোশ্যাল মিডিয়ায়ও বিরামহীনভাবে টিকাবিরোধী প্রচারণা চলছে। তাছাড়া সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে। প্রধানত এই দু'টি কারণে মানুষ মনে করে টিকা নিয়ে ঝুঁকি নেয়ার কী দরকার। এমনিতেই ভাল আছি। ঢাকায় কিছুটা আগ্রহ থাকলেও বাইরের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। অনেকে মনে করে, কোভিড এখন অতীত।
লকডাউনকালে শুনেছিল। মাস্কের ব্যবহারও গ্রামে-গঞ্জে নেই বললেই চলে। বাজার-হাট, দোকানপাট সবই খোলা। গণপরিবহনে আগের মতই অবস্থা। ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে টিকা প্রয়োগ শুরু হওয়ার কথা। এজন্য জেলা-উপজেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কম সংখ্যক মানুষ নিবন্ধনে এগিয়ে আসছেন। ২৭শে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিবন্ধন করেছেন।
নিবন্ধনের বাইরেও তালিকা করা হচ্ছে। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল উপেক্ষিত। সংস্থাটি বলেছে, সম্মুখসারির যোদ্ধাদের প্রথমে টিকা দিতে হবে। অনেক জেলা-উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নিজেরাই তালিকা তৈরি করে অপেক্ষায় রয়েছেন। ঢাকার সাধারণ মানুষ কি ভাবছেন? ব্যস্ততম কাওরান বাজারে নানা শ্রেণি, পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে অন্য একটি ধারণা পাওয়া গেলো।
পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের খায়রুল ইসলাম সরাসরি বললেন, টিকা নেবেন না। গাড়িচালক শামুল সর্দার মনে করেন, উপরওয়ালা তাকে বাঁচাবেন। টিকা বাঁচাবে না। কাপড় ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন টিকা নেয়ার পক্ষে মত দেন।
ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৪৩ জন। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী