অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পয়লা মার্চ থেকে ভারতে দ্বিতীয় দফার করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরু


সারা ভারতে আজ সোমবার পয়লা মার্চ থেকে দ্বিতীয় দফার করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলো। এবারে অগ্রাধিকার পাবেন ৬০ বছরের বেশী বয়সী মানুষেরা এবং ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের যদি কোনো দীর্ঘমেয়াদী রোগ থাকে, তা হলে তাঁরাও।

সারা ভারতে আজ সোমবার পয়লা মার্চ থেকে দ্বিতীয় দফার করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলো। এবারে অগ্রাধিকার পাবেন ৬০ বছরের বেশী বয়সী মানুষেরা এবং ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের যদি কোনো দীর্ঘমেয়াদী রোগ থাকে, তা হলে তাঁরাও।

আজ সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লির এইমস হাসপাতালে গিয়ে নিজে প্রথম টিকা নিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। যাঁরা তাঁকে ইঞ্জেকশন দিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে দেশের সব চিকিৎসা কর্মীদের তিনি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এই বিশাল দেশে প্রত্যেককে করোনার টিকা দেওয়ার কাজ অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানীরা, চিকিৎসকেরা এবং চিকিৎসা কর্মীরা সেই অসাধ্যসাধন করছেন।"

প্রধানমন্ত্রী আজ সম্পূর্ণ দেশে তৈরি ভারত বায়োটেক-এর 'কোভ্যাকসিন' নিয়েছেন। পরীক্ষা চলাকালেই এটির ব্যবহার শুরু করে দেওয়ায় এইটি সম্পর্কে কারো কারো সন্দেহ আছে। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে এই টিকাটি নিয়ে বোঝাতে চাইলেন যে, 'কোভ্যাকসিন' সম্পূর্ণ নিরাপদ, কোনো চিন্তা নেই। কাকতালীয় হলেও নরেন্দ্র মোদিকে যে দু'জন নার্স আজ টিকাটি দিয়েছেন, তাঁদের একজন পুদুচেরির, অন্যজন কেরালার। এই দু'টি রাজ্যেই আর কিছুদিন পরে ভোট হবে। প্রধানমন্ত্রী গলায় পরেছিলেন অসমের বিখ্যাত সাদা কাপড়ের ওপর লাল সুতোর কাজ করা গামছা। সেই অসমেও কিন্তু এবার ভোট।

টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অবাক সুরে বলেন, "ব্যস্, এর মধ্যেই হয়ে গেল! আমি তো টেরও পেলাম না!" তার পর তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন, "আসুন আমরা সবাই মিলে টিকা নিই এবং ভারতকে কোভিডমুক্ত করে তুলি।"

সরাসরি লিংক


দীপংকর চক্রবর্তী, ভয়েস অফ আমেরিকা, কলকাতা

XS
SM
MD
LG