অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও রাশিয়া বিষয়ক তদন্ত করছে হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটি


২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ক তদন্ত এবং বানিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সোমবার প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেটদের শুরু করা প্রয়াসে সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ক তদন্ত এবং বানিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সোমবার প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেটদের শুরু করা প্রয়াসে সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি নিয়ে আমাদের হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা প্যাটসি ওয়াইদাকুসাইওয়ারার রিপোর্ট থেকে তথ্য নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহর বিশ্লেষণসহ রিপোর্ট শুনুন সেলিম হোসেনের কাছে।

যুক্তরাস্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ কিংবা প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বে থাকার সময় রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ক কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দায়িত্বের ঘটনাবহুল দুই বছর পার করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সামনের দিনগুলো আরো ঘটনাবহুল ও জটিল হবে এমন ধারনা রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের।

হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান জেরি নাডলার যেমনটি বলেন, “প্রমান যোগাড় করার জন্যে আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আমরা তদন্ত শুরু করছি”।

সোমবার হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটি তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়ে এ সংক্রান্ত দলিল দস্তাবেজ যোগাড় শুরু করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে থেকে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবি মাইকেল কোয়েন, দুই পুত্র এরিক ও ডন জুনিয়র এবং জামাই জারেড কুশনারসহ পরিবারের বিভিন্ন সদস্য ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে নানা ধরণের কাগজপত্র ও দলিল পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিচারকার্যে বাধা প্রদান, দুর্নিতী ও ক্ষমতার অপব্যবহার সহ নানা অভিযোগ তদন্ত যুক্ত হচ্ছে এর সঙ্গে।

হোয়াইট হাউজ বলেছে এ সম্পর্কে যথাসময়ে বক্তব্য দেয়া হবে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য: “আমি সব সময়ই সকলের সঙ্গে সহযোগিতা করি। সবচেয়ে ভালো বিষয় হচ্ছে- কোনো গন্ডগোল নেই; গোপন আঁতাত নেই; সবই ভাওতা”।

২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ক অভিযোগে তাঁর সম্পৃক্তির কথা অস্বীকার করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটি একটি শক্তিশালি কমিটি যার হাতে রয়েছে ইম্পিচমেন্ট প্রক্রিয়ার ক্ষমতা। প্রেসিডেন্ট নিক্সন এবং প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা প্রদান ও ক্ষমতার অপব্যবহার তদন্ত করেছিল হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটি। তবে এবারের এই তদন্ত ইম্পিচমেন্টের প্রক্রিয়ার জন্যে নয়।

Center of American Progress এর বিশ্লেষক জেরেমি ভেনুকের মতে: “যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের একমাত্র ঘটনা ছিল ওয়াটারগেট কেলেংকারী যাতে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল; প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে এইসব অভিযোগ সেই তুলনায় তেমন কিছু না হলেও যেসব শুনানী এটিকে ঘিরে চলছে- তা শেষ না হওয়া অব্দি কিছু বলা কঠিন”।

বিশেষ কৌশুলী রবার্ট ম্যুলার রাশিয়া বিষয়ক যে তদন্ত করেছেন, যার রিপোর্ট অচিরেই প্রকাশ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে; তার সঙ্গে এই হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটি তদন্তের কোনো সম্পর্ক নেই।

American University presidential historian- Alan Lichtman বলেন, “আমরা জানিনা এই তদন্তে রাশিয়া বিষয়ক ষড়যন্ত্র সম্পর্কে কি বেরিয়ে আসবে। অবশ্যই অনেক ধুম্রজাল রয়েছে। দেখা যাক কোনো আগুন বেরোয় কিনা”।

গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবি মাইকেল কোয়েনের শুনানীতে নানা চমকপ্রদ বিষয় বেরিয়ে আসার পর পরই এই হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটির তদন্ত শুরুর ঘোষণা যেনো একটি আকশ্মিক বিদ্যুতের চমক। কারন মাইকেল কোয়েন স্পষ্টভাবে পরিস্কার করে বলেছেন ট্রাম্পকে রক্ষার জন্য কোনো কথা আর বলবেন না তিনি।

“ট্রাম্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে সকলের প্রতিদিনের দায়িত্ব হচ্ছে তাঁকে রক্ষা করা। আমরা সবাই জানি আমরা আসছি যাচ্ছি এবং তার জন্যে মিথ্যাচার করে চলেছি। এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশেও এটাই ঘটছে সর্বত্র”।

এসব ছাড়াও রয়েছে আদালতের তদন্ত। নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে ভিন্ন ভিন্ন তদন্ত হচ্ছে।

নিউইয়র্ক থেকে সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।

XS
SM
MD
LG