রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সব ক’টি বৈধ পন্থা অবলম্বন করার কথা জানিয়েছেন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)। বুধবার দুুপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে খুব কম সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে অধিকার নিয়ে ফেরত পাঠাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে বলেও জানিয়েছেন ওআইসি’র সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ জুহামেদ কুরাইশি নিয়াজ। কুরাইশি নিয়াজের নেতৃত্বে ওআইসি’র প্রতিনিধি দলটি আজ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
আমাদের সংবাদদাতা মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিলের প্রতিবেদন:
রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সব ক’টি বৈধ পন্থা অবলম্বন করবে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)। ওআইসি’র সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ জুহামেদ কুরাইশি নিয়াজ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে বুধবার দুুপুরে একথা বলেন। রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক চাপের কথাও জানান তিনি।
যেসব ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর সাথে মিয়ানমারের সুসম্পর্ক রয়েছে তাদের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালাবেন বলে জানান কুরাইশি নিয়াজ।
রোহিঙ্গাদের উপর যে বর্বর নির্যাতন হয়েছে তা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম; তাই সবকিছুই শান্তির মাধ্যমেই সমাধান হোক সেটাই প্রত্যাশা করে কুরাইশি নিয়াজ।
৫৭টি ইসলামিক রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী এই প্রতিনিধি দলের প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে যেমন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন, তেমনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও চালাবেন কূটনৈতিক তৎপরতা।
এভাবে সবক’টি বৈধ পন্থায় অগ্রসর হলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সৃষ্টিকর্তাও সাহায্য করবেন বলে আশাবাদ কুরাইশি নিয়াজের।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশের অধিকার নিয়ে খুব কম সময়ের মধ্যে ফেরত পাঠাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ওআইসি।
ওআইসির সংসদীয় প্রতিনিধিদল সকালে কক্সবাজার বিমান বন্দর হয়ে সরাসরি ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। এরপর উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারে নির্যাতত রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন। পরিদর্শনকালে ওআইসি’র সংসদীয় প্রতিনিধি দলের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আলী আজগর মোহাম্মদী সিজানিসহ, ইরান, তুর্কী, মালয়েশিয়া, আলজেরিয়া, সুদান, মরক্কো ইত্যাদি ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সঙ্গে ছিলেন।