রবিবারের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৬ জন। কিন্তু বোঝা-ই যাচ্ছে, রেলের যা পরিকাঠামো তাতে দুর্ঘটনায় অবাক হওয়ার নেই। গত সাত বছরে অধিকাংশ দুর্ঘটনার কারণ ট্রেনের লাইনচ্যূতি। আরও সমস্যা রেলের লাইন ভেঙে যাওয়া। অভাব রক্ষণাবেক্ষণেরও। চার বছর আগে অনিল কাকোদকর কমিটি সুপারিশ করেছিল, পুরনো প্রযুক্তির কোচের বদলে চালানো হোক অাধুনিক জার্মান প্রযুক্তির এলএইচবি কোচ। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়মে তৈরি এই কোচ দুর্ঘটনা ঘটলেও সচরাচর উল্টে যায় না। কিংবা, একটির মধ্যে আরেকটি ঢুকে যাওয়া বা একটির ঘাড়ে আরেকটির উঠে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে না। তাতে হতাহতের সংখ্যা কম থাকে। যদিও ১২ বছর আগেই ভারতে নতুন প্রযুক্তিতে কোচ নির্মাণ শুরু হয়ে গিয়েছে, সব দ্রুতগামী ট্রেনে এই কোচের ব্যবহার এখনও সম্ভব হয় নি। অর্থাভাবই তার প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন রেলকর্তারা।।