পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের পরই প্রশাসনের নজরে আসে রাজ্যে কীভাবে বোমা তৈরির কারখানা খুলে বসেছে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। শুধু তাই নয়, বোমা তৈরির ক্ষেত্রে নতুন কৌশল দেখেও কর্তারা আশ্চর্য হয়ে যান। শুধু খাগড়াগড় নয়, বিগত কয়েকবছরে বিভিন্ন জেলাতে একাধিক ছোটখাট বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। জেলা পুলিশের কর্তারা উদ্ধার করেছেন প্রচুর পরিমাণ বোমা। জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বোমা উদ্ধার হলেও সেই তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে একটা সমন্বয়ের অভাব থেকে যাচ্ছিল। ফলে এই সংক্রান্ত তথ্য অনেক সময় পৌঁছাচ্ছিল না বা দেরিতে আসছিল। সেগুলি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে অনেক সময় লেগে যাচ্ছিল সিআইডি বোম স্কোয়াডের অফিসারদের। তড়িঘড়ি স্থানীয় থানা ওই বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে ফেলায় একদিকে বিপদের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছিল, অন্যদিকে সেগুলি কী জাতীয় বোমা, এই সংক্রান্ত নমুনা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছিল তাঁদের। জানা যাচ্ছিল না নতুন কোনও কৌশল নেওয়া হয়েছে কি না বোমা তৈরির ক্ষেত্রে। এই সমস্যা মোকাবিলায় ‘স্টেট বম্ব সেন্টার’ গড়ল রাজ্য প্রশাসন, সিআইডিকে এই সেন্টারের যাবতীয় কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই খবর।