বাংলাদেশের ফটো সাংবাদিক জীবন আহমেদ এখন অনেকটাই এক ঘরে। সতীর্থরা তাকে বয়কট করে চলেছেন। চাকরিও চলে গেছে কর্মস্থল থেকে। সহকর্মীদের হাতে পিটুনিও খেতে হয়েছে। একটি অনলাইনে তিনি কাজ করতেন। একটি ছবি তোলার কারণেই এই অবস্থা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে খবরটি দুনিয়ার বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যমে পৌঁছে গেছে। ওয়াশিংটন পোস্টও খবর করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এলাকায় এক দুপুরে ছবিটি তুলেছিলেন জীবন আহমেদ।
বাইরে বৃষ্টি পড়ছে ঝমঝম করে। টিএসসি চত্বরে আড্ডায়-খোশ গল্পে মেতে ছিলেন এক যুবক-যুবতি। এর মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। অন্যজন বাইরের। এক পর্যায়ে ফটোগ্রাফার জীবন দেখতে পান তারা লিপ কিসিং এ মত্ত। মুহূর্তেই জীবন তার ক্যামেরায় বন্দি করেন এ দৃশ্য। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছবিটি তার কর্মস্থলে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু কর্মস্থল থেকে বলা হয় এই ছবি ছাপা হলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ঝামেলার সম্ভাবনাও বেশি।
জীবন আহমেদ এখানেই দমলেন না। নিজের ফেসবুক ও ইন্সট্রাগ্রাম প্রোফাইলে আপলোড করে দেন। মুহূর্তেই ছবিটিতে হাজার হাজার শেয়ার যুক্ত হয়। এরপর ভাইরাল হয়ে যায়। এই সংবাদদাতাকে জীবন বলেন, ওই যুগল অবিরাম চুমুতে ছিল। আমি এতে ভুল খুঁজে পাইনি। অশ্লীলতা কিছু ছিল বলে মনে হয় না।
ঘরের বাইরে লিপ কিসিং বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশী সমাজে এমনটা কল্পনাই করা যায় না। এসব জেনেও কেন ছবি তুললেন? জীবন বললেন, ওরাতো ছবি তুলতে আপত্তি করেনি। নৈতিকতার বিকৃত চেতনা একজন শিল্পীর কাজকে প্রভাবিত করতে পারে না।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী