সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকরা আর কোচিং বাণিজ্যে যুক্ত হতে পারবেন না। তবে নিজ নয়, অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি লাগবে।
বাংলাদেশে কোচিং বাণিজ্য এক ধরনের মহামারী আকার ধারণ করার পটভূমিতে ২০১২ সনে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। আর এই নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৫টি রিট দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার রিটগুলোর শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে এই রায় ঘোষণা করা হয়।
এই রায়ের আগে শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেন, ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটের সঙ্গে জড়িত বড় বড় রাঘব-বোয়ালদের ছেড়ে দিয়ে স্কুল শিক্ষকদের নিয়ে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ছোট দুর্নীতির আগে বড় বড় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। তবেই দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব হবে।
কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালায় রয়েছে এমপিওভুক্ত কোন শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তার এমপিও স্থগিত, বাতিল, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, বেতন এক ধাপ অবনমিতকরণ, সাময়িক বরখাস্ত, চূড়ান্ত বরখাস্তের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া কোনো শিক্ষক কোনো শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে উৎসাহিত বা বাধ্য করতে পারবেন না। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, কোচিং বাণিজ্য অনুসন্ধান এবং তদন্ত করার এখতিয়ার দুদকের রয়েছে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি অগ্রাধিকার তালিকা থাকতে হবে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী