উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার রাম মন্দির বাবরি মসজিদ মামলার সমাধান একমাত্র মধ্যস্থতার পথেই হতে পারে। আজ তা স্পষ্ট করল দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কীভাবে মধ্যস্থতা হবে তা সব পক্ষের পরামর্শ নিয়েই নির্ধারণ করা হবে বলে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ আজ জানালো।
আজ সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবরে বলেন, নতুন করে ইতিহাস জানানোর প্রয়োজন নেই। আমরা তা জানি। বিচারপতি এস এ বোবরে আরও বলেন, কে আবিষ্কার করেছে, বাবর কী করেছেন, সে সময় রাজা কে ছিল, সেখানে মন্দির না মসজিদ ছিল, তার ইতিহাস আমরা পাল্টাতে পারি না। তবে, হিন্দু মহাসভা তরফে মধ্যস্থতার বিপক্ষে সওয়াল করা হয়। রামলালার তরফে সুপ্রিম কোর্টের এই পরামর্শের বিরোধিতা জানিয়ে কৌঁসুলি সি এস বৈদ্যনাথন বলেন, হিন্দুদের বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন। এ বিষয়ে কেউ আপোস করতে রাজি নন। প্রয়োজন হলে আমরা অর্থ জোগাড় করে অন্যত্র মসজিদ বানিয়ে দিতে রাজি।
তখন জবাবে বিচারপতি সি এ বোবরে বলেন, আপনারা আগেই ধরে নিচ্ছেন কেন, মধ্যস্থতা মানেই কিছু হারাতে হবে! এই মামলার সংবেদনশীলতা সম্পর্কে অত্যন্ত ওয়াকিবহাল সুপ্রিম কোর্ট। তবে, শীর্ষ আদালত জানায়, কোনও এক ব্যক্তি ওই মধ্যস্থতা করবেন না। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে মধ্যস্থতার জন্য তৈরি হবে একটি প্যানেল। যত দিন না সমাধান সূত্র বেরচ্ছে ওই প্যানেলে চলবে অযোধ্যা মামলার বিচারকার্য। তবে, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, মধ্যস্থতা প্যানেলের কোনও রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।