ভারতের সংসদে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের দৃপ্ত-জোরদার সংখ্যাগরিষ্ঠতার বদৌলতে বিতর্কিত নতুন সংশোধিত নাগরিক আইন বিধি পাশ হয়ে থাকলেও খোদ তাঁর সরকারেরই কিছু কিছু সদস্য এ ব্যাপারে হিংসাশ্রয়ি পাল্টা প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনার কথা ব’লেছেন। ঐ আইনবিধি পাশ হবার পর পরই দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে, হ’চ্ছে লাগাতার। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হ’য়েছে, দেশটির নামকরা সব উচ্চ শিক্ষার পীঠস্থানগুলোর তরফ থেকে পথে পথে বিক্ষোভ মিছিলের ঢল নেমেছে – ঐ আইনবিধি খারিজের যেসব ডাক উঠেছে তাতে যোগ দিয়েছেন বিরোধী দলগুলোর নেতৃবৃন্দ। ছ’ বছর আগে জনপ্রিয়তার নাগর দোলায় চড়ে মোদী যে ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন, সেই মসনদ এখন মারাত্মক এক প্রতিরোধের সম্মুখিন।
নতুন এ সংশোধিত নাগরিক আইন বিধির আওতায় ৬টি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিন্দু-শিখ-খৃষ্টান-পার্সী-বৌদ্ধ এবং জৈন সম্প্রদায়ের লোকজন যাঁরা কিনা ধর্মীয় নির্যাতনের তাড়া খেয়ে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে পালিয়েছেন সেই তাঁদের জন্যে ত্বরিত নাগরীকত্ব প্রদানের বিধান রাখা হ’য়েছে। অথচ এতে দক্ষিন এশিয়ার বড়ো মাপের একটি ধর্ম সম্প্রদায় ইসলামকে বাদ দেওয়া হ’য়েছে।