জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের প্রতিফলন আলোক প্রক্ষেপণে:
শিল্পী এবং জলবায়ু সক্রিয়কর্মী মণিকা জাহান বোসের স্টোরি টেলিং উয়িথ শাড়িস-এর অষ্টম প্রয়াস “ওয়ার্মিং ওয়াটার্স” অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ওয়াশিংটনের জর্জটাউনে। ৩দিনের ঐ প্রদর্শনীতে শাড়ীর ওপরে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের প্রতিফলন ঘটেছে আলোক প্রক্ষেপণের মধ্যদিয়ে।
৫০তম বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষ্যে চিত্রশিল্পী এবং জলবায়ু সক্রিয়কর্মী ওয়াশিংটনবাসী মণিকা জাহান বোস এবং আলোক প্রক্ষেপণ শিল্পী রবিন বেল নীল-সাদা শাড়ীর উপরে আলোক মালার সংমিশ্রণে সৃজনশীল শিল্পকর্মের মধ্যদিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা তুলে ধরলেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত কাটাখালি আর ওয়াশিংটন---পৃথিবীর দুই প্রান্তের নারীরা শাড়ী ছাপানোর মধ্যদিয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে প্রতিভাত হয়েছেন শিল্পীর জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ওয়ার্মিং ওয়াটার্স প্রদর্শনীতে। অভিনব এই প্রদর্শিনীর বিশেষ আকর্ষণ ছিল আলোক প্রক্ষেপণ। শিল্পী রবিন এই প্রদর্শনী সম্পর্কে বললেন, “ছবি, ভিডিও আর গল্প শুনে আমি এই কাজের সঙ্গে নিজেকে একাত্ব করেছি। আসলে এসবটাই গল্প বলা। মণিকা এবং আরও যারা এই প্রকল্পে কাজ করেছেন তাদের গল্পই এখানে।”
বারো হাতের শাড়ি কেবলমাত্র যে বস্ত্র নয় সেকথা জানাতে রবিন বললেন,
“প্রতিটি শাড়ির রয়েছে এঁর নিজস্ব গল্প। শাড়ীর উপরে যে শব্দ আর গল্প আঁকা আছে তারই ছবি এক সঙ্গে করে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে রং-আর আলো প্রক্ষেপণ করেছি। আর এখানকার মানুষের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও যে অন-লাইনে এটা দেখছে তা এক দারুণ অভিজ্ঞতা---”
কোভিড 19এর কারণে সৃজনশীল কর্মকান্ড যখন প্রায় বন্ধ বলেই চলে তখন শিল্পী মণিকা এবং রবিনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত খোলা আকাশের নীচে এই প্রদর্শনী নিয়ে এসেছিল একরাশ আনন্দ আর প্রত্যাশা।