অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তান শাসনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর তালিবান


তালিবান যোদ্ধারা কাবুলে। ১৯ই আগষ্ট, ২০২১
তালিবান যোদ্ধারা কাবুলে। ১৯ই আগষ্ট, ২০২১

কাবুলে তালিবান আবার ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার এবং "যুদ্ধ শেষ" ঘোষণার কিছুদিন পর পরই  আফগানিস্তানে  শাসন ব্যবস্থা, নিরাপত্তা এবং প্রাক্তন শত্রুদের সাথে আপোষ সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য দ্রুত কাজ করছে।  

কাবুলে তালিবান আবার ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার এবং "যুদ্ধ শেষ" ঘোষণার কিছুদিন পর পরই আফগানিস্তানে শাসন ব্যবস্থা, নিরাপত্তা এবং প্রাক্তন শত্রুদের সাথে আপোষ সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য দ্রুত কাজ করছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এবং সেই সাথে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতৃবৃন্দ, বুধবার গভীর রাতে আফগানিস্তানের রাজধানীতে শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের বাসভবনে যান।

তালিবান নেতারা যাদের সঙ্গে দেখা করেন তাদের মধ্যে ছিলেন আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং স্ব-নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি জোটের অংশীদার রিকনসিলিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ।

আবদুল্লাহ বৃহস্পতিবার বৈঠকের বিষয়ে টুইটে বলেছেন,"তারা কাবুল এবং গোটা আফগানিস্তানে নাগরিকদের নিরাপত্তা, দেশের ভবিষ্যতের জন্য ঐক্য ও সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করেছে"।

আবদুল্লাহ টুইটারে লিখেছেন যে খলিল আল-রহমান হাক্কানি, যিনি কিনা ২০১১ সালে ওয়াশিংটন কর্তৃক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসাবে ঘোষিত হয়েছিলেন, তিনি তালিবান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং সেখানে আফগান সেনেট চেয়ারম্যান ফজল হাদি মুসলিমইয়ারও উপস্থিত ছিলেন।

অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন ব্যবস্থার গুরুত্বকে তুলে ধরার আপাতঃ প্রচেষ্টা হিসেবে আবদুল্লাহ জোর দিয়ে বলেন, "ইতিহাসে দেখা যায় যে সামাজিক ন্যায়বিচার না থাকলে, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন ব্যবস্থায় নিরাপত্তা প্রদান এবং জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করা অসম্ভব।"

তালিবান অবশ্য একটি 'অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলামী সরকার' গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যাতে দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশ হয়ে থাকে এবং পুনর্নির্মাণের জন্য অত্যাবশ্যক সহায়তা পেতে থাকে।

তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ টুইটারের মাধ্যমে এ কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তাদের ইসলামী গোষ্ঠী সব দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।

XS
SM
MD
LG