যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ব্রাসেলসে নেটোর মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, নেটো মিত্ররা রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত চায় না তবে সংঘাত হলে তারা এর জন্য প্রস্তুত।
শুক্রবার নেটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে সংবাদদাতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় ব্লিংকেন বলেন, পরিস্থিতি যদি এমন হয়, তা হলে মিত্ররা “ নেটো এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করবে।”
স্টোলটেনবার্গ বেসামরিক নাগরিক এবং ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার রাতারাতি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। বিশেষ করে তিনি ইউক্রেনের এনেরহোদার শহরের কাছে জেপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গোলাবর্ষণের নিন্দা করেন।
তিনি বলেন, এই হামলায় “এটাই প্রতীয়মান হয় যে এই যুদ্ধে বেপরোয়া ভাব লক্ষণীয়, এটি বন্ধ করা জরুরি এবং রাশিয়াকে সমস্ত সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং গুরুত্বের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় অগাধ বিশ্বাস রাখতে হবে।
স্টোলটেনবার্গ জোর দিয়ে বলেছেন যে নেটো প্রতিরক্ষামূলক একটি জোট এবং তারা রাশিয়ার সাথে সংঘাত চাইছে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের চারপাশে বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা প্রতিষ্ঠার জন্য নেটোকে বারবার আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু নেটো মিত্ররা এমন একটি পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে যা তাদের রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হতে আকৃষ্ট করবে।
মহাসচিব শুক্রবার বলেন, “সকল মিত্রকে রক্ষা করা এবং সুরক্ষা দেয়া সম্পর্কে আমাদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হওয়া উচিত নয়”। তিনি বলেন, “ ‘আত্মরক্ষামূলক অবস্থান’' হিসেবেই পূর্ব ইউরোপে নেটো বাহিনী তাদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে।
নেটো প্রধান আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সেনারা ঐ অঞ্চলে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে এবং পূর্বাঞ্চলের মিত্রদের সঙ্গে তারা স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে তাদের উপস্থিতি আরও বাড়াতে এগিয়ে আসবেন।
মহাসচিব উল্লেখ করেন, নেটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জবাব জোট কিভাবে দেবে সে বিষয়ে সমন্বয় ও পরামর্শ করার জন্য বৈঠক করছেন এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়েও তারা বিবেচনা করছেন।
[এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া।]