ভারত এবং আঞ্চলিক ব্লকের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কের আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার নতুন দিল্লিতে ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর (আসিয়ান) পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের মধ্যে ২ দিনের আলোচনা শুরু করেছে। এতে ভারত ও এই আঞ্চলিক গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার আহ্বাণ জানানো হয়।
চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেক্ষাপটে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো । এই বৈরীতা এই অঞ্চলে শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ, বলেছে সিঙ্গাপুর।
বৈঠকের সহ-আয়োজক ভারত এবং সিঙ্গাপুর ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোকেও তুলে ধরে।
ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম নিয়ে আসিয়ান গঠিত।
আসিয়ানের সাথে কৌশলগত, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি অগ্রাধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ উভয় দেশই ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাবকে হ্রাস করতে চায়।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনে আসিয়ান নেতাদের সাথে প্রথম শীর্ষ বৈঠক করেন। তিনি বলেছিলেন, এটি ওয়াশিংটন এবং আসিয়ান ব্লকের মধ্যে সম্পর্কের একটি “নতুন যুগের” সূচনা করেছে।
বেইজিং-এর সাথে বেশ কয়েকটি আসিয়ান রাষ্ট্রের সমুদ্র সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের দাবিকৃত জলসীমায় চীন দ্বীপ তৈরি করেছে । এই কারণে এ অঞ্চলে চীনা সম্প্রসারণবাদ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, চীন আসিয়ান দেশগুলোর প্রাথমিক বাণিজ্য অংশীদার হওয়ায় ব্লকটি উভয় পক্ষের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সতর্ক থাকবে। চেষ্টা সত্ত্বেও আসিয়ান এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্য পরিমিত রয়ে গেছে- ২০২১ সালে যার পরিমাণ ৭৮০০ কোটি ডলারের মতো।