আফ্রিকান নেতারা যুদ্ধবিরতি ও সংঘাত সাময়িকভাবে প্রশমিত করার আহ্বান জানানোর তিন দিন পর মঙ্গলবার গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে লড়াই শুরু হয়।
স্থানীয় ও নিরাপত্তা সূত্রগুলো এএফপিকে জানায়, ভোরে দক্ষিণ কিভু প্রদেশে কঙ্গোর সেনা অবস্থানে এম২৩ যোদ্ধারা হামলা চালায়। ডিআরসি সরকার এম২৩ বিদ্রোহী দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র এটিকে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করেছে। কঙ্গো রোয়ান্ডার বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের সমর্থন করার অভিযোগ করেছে। রোয়ান্ডা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পূর্ব ও আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের নেতারা তাদের সাধারণ কর্মীদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে একটি “নিঃশর্ত” যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা প্রস্তাব করার আহ্বান জানানোর পরে এই পুনরুত্থান ঘটে। এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয় এবং বিপুল সংখ্যক লোক তাদের ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
মঙ্গলবার প্রাদেশিক রাজধানী বুকাভু থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার এবং প্রদেশের বিমানবন্দর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ইহুসি গ্রামের কাছে সংঘর্ষ হয় বলে জানায় নিরাপত্তা সূত্রগুলো।
বেশ কয়েকটি স্থানীয় সূত্র ‘ভারী অস্ত্রের বিস্ফোরণ’ এর কথা জানায়।
কঙ্গোলিজ সেনাবাহিনী কাভুমু বিমানবন্দরটি এই অঞ্চলে সেনা ও সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য ব্যবহার করে। তাদের প্রধান সামরিক ঘাঁটি বিমানবন্দরটির কাছাকাছি অবস্থিত।
বুকাভু বেশ কয়েকদিন ধরে এম২৩ আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। শুক্রবার শহরের স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বাসিন্দারা পালাতে শুরু করেছে এবং আসন্ন হামলার আশঙ্কায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবারও শহরে ব্যাংকগুলি বন্ধ ছিল।
বুকাভু দখলের ফলে এম২৩ এবং রোয়ান্ডার সেনারা কিভু হ্রদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবে।
ধর্ষণ, হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগে একটি সামরিক আদালতে কঙ্গোর প্রায় ৩০০ সেনার বিচার চলছে।
গোমার মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে। শহরের বড় অংশে নিয়মিত পানি সরবরাহ নেই। বাসিন্দারা কিভু হ্রদ থেকে পানি নিতে বাধ্য হচ্ছে। কিভু হ্রদ থেকে লড়াইয়ের পরে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।