৩১তম বার্ষিক রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড দেয়া হল বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানকে। বাংলাদেশের নাগরিকদের মানবাধিকার লংঘনের পক্ষে লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসাবে ২০শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার ক্যাপিটল হিলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মিসেস কেনেডী আদিলুর রহমানের হাতে তুলে দেন পুরস্কারটি।
ক্যাপিটল হিলের রাসেল বিল্ডিং এর হলভর্তি অতিথিদের সরব করতালির মধ্য দিয়ে মিসেস কেনেডীর হাত থেকে ২০১৪ সালের সম্মানজনক আরএফকে মানবাধিকার পুরস্কার ২০১৪ গ্রহণ করলেন অধিকারের সাধারণ সম্পাদক আদিলুর রহমান।
পুরস্কার গ্রহন করে মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশে সমতা, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সহায়তা করার জন্য আরএফকে সেন্টারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
তিনি বলেন আামি আরএফকে সেন্টারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই এই সম্মান দেয়ার জন্য। তিনি বলেন, "এই পুরস্কার অধিকারের একার নয়, মানবাধিকার নিয়ে যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করছেন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াস চালাচ্ছেন, তাদের সবাইকে এই পুরস্কার উৎসাহিত করবে, শক্তিশালী করবে। আসংখ্য আইনজ্ঞ, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেছেন এবং কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, নির্যাতিতদের জন্য কাজ করেছেন তারা সবাই এই পুরস্কারের অংশীদার”।
রবার্ট এফ কেনেডী কন্যা কেরী কেনেডী আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন এই পুরস্কার আদিলুর রহমান খান ও অধিকারে তার সহকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে, যাতে তারা সকল প্রকার বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।
তিনি বলেন সাহসী মানুষেরা মানবিক ম্যল্যবোধ থাকার কারনে বিশ্বের যে কোনো স্থানে যে কোনো দুরবস্থার মোকাবিলা করতে পারেন সঠিকভাবে, খুঁজে নিতে পারেন সঠিক পথটি। আদিল তাঁর সাহসীকতার প্রমাণ রেখেছেন। আমরা তাই এই পুরস্কার দিয়ে তাঁর সঙ্গে মানবাধিকারের সংগ্রামে নতুন অংশীদারিত্ব সম্পর্ক গড়তে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি এই অনুষ্ঠানে আগত সকলকেই আপনি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আপনার সহযোদ্ধা ভাববেন।
কংগ্রেসম্যান হয়্যার বলেন মানুষের অধিকার ও সামাজিক্য ন্যায় বিচারের পথিকৃৎ রবার্ট কেনেডীর আদর্শ তুলে ধরার জন্য যোগ্য ব্যাক্তিকে এবার মনোনীত করা হয়েছে। তিনি আশা করেন আদিলুর রহমান খানও অধিকার অন্যান্য সকল মানবাধিকারকর্মী ও প্রতিষ্ঠানের জন্য উদাহরণ হবে।
তিনি বলেন, "এমন একজনকে সম্মানিত করা হল যিনি রবার্ট এফ কেনেডীর নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী কাজ করেছেন। মিষ্টার খান আপনার সাহসীকতা নেতৃত্ব ও সাধারণ মানুষের কল্যানের জন্য তাদের হয়ে কথা বলার জন্য ধন্যবাদ জানাই"।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাস্ট্রের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।