দীর্ঘদিন যাবত আল কায়েদার জঙ্গি হয়ে কাজ করেছে এমনি একজন, সিরিয়ার সার্মাদার কাছাকাছি এলাকা দিয়ে যাবার সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হয় জুলাইয়ের গোড়ার দিকে- জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগান।
মূহসীন আল ফাধলী যাচ্ছিলো একটি মোটোর যানে চড়ে জুলাইয়ের আট তারিখে যখন কিনা তার ওপর ঐ আঘাত হানা হয়।
আল কায়েদা জঙ্গি সদস্যদের একটা নেটওয়ার্ক নাম যার খোরাসান গ্রুপ সেই তারই নেতা ছিলো আল ফাধলী।মঙ্গলবার পেন্টাগান মূখপাত্র নৌ বাহিনীর ক্যাপ্টেন জেফ ডেভীস এক বিবৃতিতে বলেন- ঐ খোরাসান গ্রুপ বাইরে বাইরে – বিদেশে, যুক্তরাষ্ট্রের এবং আমাদের মিত্রদের ওপর হামলার ষড়যন্ত্র এঁটে থাকে।
ডেভিস জানান- আল কায়েদার ওপর তলার কর্মি আল ফাধলী ছিলো আল কায়েদার হোমড়া চোমড়াদের খুবই আস্থাভাজন এক জঙ্গি,হাতে গোনা কয়েকজনের ভেতর তার কাছেও আগেভাগেই দু’ হাজার একের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার আগাম-খবর পাঠানো হয়েছিলো।
পেন্টাগান বলছে- কুয়েতের ফেলাকা দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের মেরীন সেনাদের ওপর এবং ফরাসী জাহাজ এম ভি লিমবার্গের ওপর পরিচালিত হামলাসহ দু’ হাজার দু’ সালের অক্টোবরের সন্ত্রাসী হামলায় আল ফাধলীর সংশ্লিষ্টতা ছিলো।
দু’ হাজার বারো সালে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতর মুহসীন আল ফাধলীকে জিবিত অথবা মৃত পাকড়াও করার উপযোগী তথ্য সরবরাহের জন্যে ৭০ লক্ষ ডলার পুরস্কার ঘোষনা করেছিলো। গোড়ার দিকে আল ফাধলীর আস্তানা ছিলো ইরানে।