অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়া


জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার তিনি দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন। ট্রাম্প বলেন এই পদক্ষেপের ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা হবে এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা থাকবে।

প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তের পর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়। ক্ষোভের পরিমাণটা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অনেক বেশি। পশ্চিম তীর, গাজা ও জেরুজালেমের রাস্তায় বিক্ষোভে নামে তারা। বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় বিক্ষোভে নামে শত শত ফিলিস্তিনি।

তুরস্কের একজন বিক্ষোভকারী মন্তব্য করেন, “আমি দেখছি এটা গাসলিনের ওপর আগুন লাগিয়ে দেয়ার মতো ব্যাপার। বিশ্ব শান্তির জন্য এটা ভালো হলো না। বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ উত্তেজনা বাড়বে এতে। এটা ভালো করে পরিকল্পনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মুসলিম বিশ্বের ১.৫ বিলিয়ন ১৫০ কোটি মানুষের আবেগ অনুভূতির কথা বিবেচনায় আনা উচিৎ। ধর্মের বিষয় বাদ দিয়েও যদি বলি এই সিদ্ধান্ত তবে ভুল হয়েছের। আমি আশা করি এই ভুলকে শুদ্ধ করা হবে”।

তুরস্ক ও ইরাকে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস জেফরি এর কড়া সমালোচনা করে বলেন, “এই অঞ্চল ও ইসলামি বিশ্বের; যুক্তরাস্ট্রের প্রতি প্রশ্ন তোলার আরেকটি সুযোগ করে দিল। এই প্রেসিডেন্টের মনোভাবের প্রতিও প্রশ্ন উঠলো। ইসরাইল ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ায় এটি একটি বাধা হতে পারে বলে মনে হচ্ছে"।

ট্রাম্পের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। পোপ ফ্র্যান্সিস জাতীসংঘ নীতিমালা মেনে যে কোনো সমস্যা সমাধানের আহবান জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিব এ্যান্টনিও গুটিরেজ বলেন ইসরাইল ও ফিলিস্তিন নেতাদের সমঝোতার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং তাতে তার সধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব তা করবেন।

বিষয়টি নিয়ে আজকের আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন ওয়াশিংটন ষ্টুডিওতে রোকেয়া হায়দার ও সেলিম হোসেন এবং ঢাকা থেকে সিনিয়র সাংবাদিক নাজমুল আশরাফ এবং নিউইয়র্ক থেকে প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ।

XS
SM
MD
LG