যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক নীতিনির্ধারক একটি নথিতে চীনের দিক থেকে আসা বিপদ ঠেকাতে ভারতকে সব রকমের সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ দিনগুলোতে বেশ কিছু সরকারি নথিপত্র গোপনীয়তার আবরণ মুক্ত হয়েছে। এটিও তারই একটি। এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও পারস্পরিক স্বার্থ রয়েছে এমন সব অঞ্চলে চীনকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সর্ব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে চায়। বিশেষ করে সামরিক কৌশলগত সহযোগিতা। ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টারও সম্প্রতি বলেছেন, সিকিম ও লাদাখে চীনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সাহায্য করেছে।
এটা অবশ্য নতুন কোনও নীতি নয়, সেই অর্থে তাই গোপনও নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও থেকে শুরু করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও 'ব্রায়েন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সারির সব মন্ত্রী ও আমলাই এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আগ্রাসী চীনকে আটকানোর জন্য শক্তিশালী ভারতের প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার বলেছেন। এই নথি গোপন তালিকাভুক্ত করেছিলেন উপ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাট পটিংগার সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে ঢুকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকেরা তাণ্ডব করার পর ম্যাট পটিংগার পদত্যাগ করেন। ওই ঘটনার সঙ্গেও এই নথিটির সম্পর্ক নেই, তবে ধরেই নেওয়া হচ্ছে আগামী দিনে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনও এই নীতিই মেনে চলবে। ভারতের ব্যাপারে এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বদলের কোনও কারণ নেই।