একযুগ আগে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পিলখানায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিডিআর সদস্যদের বিদ্রোহে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের বৃহস্পতিবার শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় স্মরণ করেছেন স্বজনরা এবং দেশবাসী।
২০০৯ সালের এ দিনে পিলখানায় তদানীন্তন বিডিআরি বাহিনীর বিদ্রোহী সদস্যরা হত্যা করেছিল ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। ২৬শে ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের অবসানের পর যখন এ নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে তখন সমগ্র জাতি স্তম্ভিত হয়েছিল। নিহত এ সকল সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বনানী সেনা কবরস্থানে ভিড় করেছিলেন তাঁদের স্বজনরা। তাঁরা নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তাঁদের আবেগ তাড়িত কিছু মনের কথা।
নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তাঁদের সামরিক সচিবরা। এছাড়াও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তিন বাহিনী প্রধান, বিজিবির মহাপরিচালক এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তারা কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধা জানানো শেষে বিএনপি এর ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন বিচারের দীর্ঘসূত্রতায় দেশবাসী হতাশ ও মর্মাহত। তিনি দোষীদের বিচারের চূড়ান্ত রায় এ বছরের মধ্যেই ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। জাতিয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে যে বিভ্রান্তি রয়েছে তা দূর করার ওপর গুরুত্ব দেন। বাংলাদেশ কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনেরেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম এ হত্যাযজ্ঞকে বাংলাদেশ বিরোধী একটি ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন।
উল্লেখ্য, বিচারিক আদালতে এবং হাই কোর্টে হত্যা মামলার বিচার কাজ শেষ হলেও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রাষ্ট্র পক্ষ এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিলের সুযোগ থাকায় বিচার প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি।