চট্টগ্রামের বিএফ শাহিন কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসা হয় পতেঙ্গা বোর্টক্লাব জেটিতে। এরপর সেখান থেকে নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজে করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া নোয়াখালীর ভাসানচরে। এ নিয়ে পঞ্চম ধাপে দ্বিতীয় দিনে ভাসানচরে গেল এক হাজার ৭৫৯জন রোহিঙ্গা। এর আগে বধুবার ভাসানচরে যায় দুই হাজার ২৬০জন।
গেল বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয় এক হাজার ৬৪২জনকে। এর পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ দফায় ভাসানচরে স্থানান্তর করা হলো ১৪ হাজারের বেশী রোহিঙ্গাকে।
কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা এসব রোহিঙ্গারা জানান, ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় তারা ভাসানচরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে যেসব শিশুর জন্ম হয়েছে তাদের ভবিষ্যত নিয়েও চিন্তিত রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশে অবস্থান আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত এসব রোহিঙ্গা ফিরে যেতে চান নিজ দেশে। তবে, এ জন্য পরিবেশ তৈরীর কথা বলছেন তারা।