মিশরে শনিবার থেকে ফিরতি নির্বাচন শুরু হচ্ছে। নির্বাচনে সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শাফিক মুসলিম ব্রাদারহুড প্রার্থী মোহামেদ মরসীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মিশরে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে ভোট শুরূ হলো। এর আগে সে দেশের প্রধান সাংবিধানিক আদালত ইসলামপন্থী সংসদ প্রণীত একটি আইন বাতিল ক’রে দেয়। সেই আইনে মিষ্টার শাফিকের মত ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক সরকারের কর্মকর্তাদের প্রশাসনের দায়িত্ব নেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। হোসনি মুবারকের আমলে চাকুরীপ্রাপ্ত বিচারকরা সংসদীয় নির্বাচনের শেষ দফা পরিচালনার ক্ষেত্রে আইনগত কিছু সমস্যার উল্লেখ ক’রে ইসলামপন্থীদের নেতৃত্বের সংসদ বাতিল করার আহবান জানিয়েছেন।
মিশরের কিছু ইসলামপন্থী নেতা সেদেশের শাসক সামরিক কাউন্সিলের বিরুদ্ধে অভি্যোগে বলেন, কাউন্সিল কার্যত এক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। তবে সামরিক কাউন্সিল জানায়, ফিরতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পরিকল্পনামাফিক সম্পন্ন হবে।
মিষ্টার শাফিক বৃহষ্পতিবার কায়রোয় তাঁর সমর্থকদের বলেন, আদালতের রায় তাঁর ভাষায় এক ঐতিহাসিক ঘটনা। তিনি সব মিশরীয়দের নির্বাচনে অংশ নেবার আহবান জানান। ওদিকে মুসলিম ব্রাদারহুড জানায়, আদালতের রায় এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে যে মিশর তাদের ভাষায় মুবারক শাসনের শেষ দিন গুলোর চেয়েও খুবই কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে এগুচ্ছে।
আদালতের ঐ রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার কায়রো ও আলেক্সান্দ্রিয়ার পথে নামে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টন বলেন, “ওয়াশিংটন মিশরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি লক্ষ্য করছে। সে দেশে গনতান্ত্রিকপন্থায় নির্বাচিত সরকারের হাতে পুরোপুরি ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যপারে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী”।
জাতিসংঘের মহাসচিব মান কি-মুন মিশরে তাঁর ভাষায় শান্তিপূর্ণ ও সামহিক নির্বাচনের আহবান জানান।