অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিশর ও সিরিয়া পরিস্থিতির অবনতির আশংকা : অধ্যাপক রীয়াজ


মিশর ও সিরিয়া পরিস্থিতির অবনতির আশংকা : অধ্যাপক রীয়াজ
মিশর ও সিরিয়া পরিস্থিতির অবনতির আশংকা : অধ্যাপক রীয়াজ

মিশরে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল তার লক্ষ্য যে হোসনে মুবারকের পতনের চেয়ে আরো অনেক বেশি সেটা এখন বেশ পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে। সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক ভূমিকা সম্পর্কে প্রতিবাদ জানাতে আবারও সমাবেশ ঘটেছে তাহরির স্কোয়ারে চতুর্থ দিনের মতো। এ বিষয়ে ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির , পলিটিকাস ও গভর্ণমেন্ট বিভাগের প্রধান , অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন যে মিশরে ঠিক তিউনেশিয়ার মতো গণগত কোন গণতান্ত্রিক পরিবর্তন আসবে তেমনটি বলা যাবে না কারণ মিশরের সেনাবাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ঐ অঞ্চলে সেনাবাহিনীর একটা ভুমিকা রয়েছে। তবে তিনি বলেন যে গত কয়েকদিন ধরে মিশরের সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে তরুণ সমাজ , তারা কোন অবস্থাতেই সেনাবাহিনীর পূর্ব –নির্ধারিত ভূমিকা অর্থাৎ অভিভাবকত্বের কোন ভূমিকা মেনে নিতে রাজি নয়। সেনাবাহিনীর অপরিবর্তনযোগ্য বাজেট নিয়েই মূলত এ্ই সাম্প্রতিকতম প্রতিবাদের সূচনা। কাজেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে এবং অধ্যাপক আলী রীয়াজ আশা করেন যে সেই কারণে কিছু গণগত পরিবর্তন ঘটবে ।

মিশরের সেনাবাহিনী যদি শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা থেকে হটে যায় তা হলে ঐ অঞ্চলের বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যে এর কি প্রতিক্রিয়া হতে পারে বিশেষত যখন কোন কোন বিশ্লেষক মনে করেন যে ইসরাইলের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার ব্যাপারে মিশরের সেনাবাহিনীর একটা ভুমিকা আছে , এই প্রশ্নের জবাবে ড আলী রীয়াজ বলেন যে মধ্যপ্রাচ্য বিশেষত উত্তর আফ্রিকার জন্যে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গণতন্ত্র বণাম স্থিতিশীলতা। সেনাবাহিনী ক্ষমতায় থাকলে “ স্থিতিশীলতা” বা স্টেটাস্কো বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু এর পরিণতিতে গণতান্ত্রিক আকাঙ্খাগুলি বাস্তবায়িত হয় না। সেনাবাহিনী এখন যেহেতু চাইছে যে নতুন সংবিধানে তাদের একটা নির্দিষ্ট ও স্থায়ী ভূমিকা তৈরি করা হোক। তবে সেটার প্রতিক্রিয়া দেশের ভেতরে অবশ্যই পড়বে , কেননা সেনাবাহিনী কেবল একটি প্রতিষ্ঠান নয় কারণ ১৯৫২ সাল থেকে চারজন প্রেসিডেন্টই সেনাবাহিনী থেকে আসা এবং সেনাবাহিনীর একটা অর্থনৈতিক স্বার্থ ও রয়েছে।

অন্য আরেকটি প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন যে সিরিয়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আশংকাজনক পরিস্থিতির দিকে এগুচ্ছে দেশটি বিশেষ করে আরব লীগের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তাবটি আসাদ সরকার প্রথমে মেনে নেওয়ার পর এখন আবার সেটা মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে তারা , বলছে পর্যবেক্ষকের সংখ্যা কমাতে। সিরিয়ার ক্ষমতাসীনরা কালক্ষেপণের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে আবার সিরিয়ার সরকারের বিরোধীরা ক্রমশই শক্তি সঞ্চয় করছে এবং সহিংস ও উঠছে। কাজেই সেখানে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটার আশংকা আছে।

XS
SM
MD
LG