অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী বিচারে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত


ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে. র্যাপ আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে. র্যাপ আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে. র্যাপ আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মি. র্যাপ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আইনগত বিভিন্ন দিক নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ. মরিয়ার্টি এবং আইন সচিব শহিদুল করিম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মি. স্টিফেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ আনত্মর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) অনুস্বাক্ষরকারী একটি দেশ। সে হিসেবে বাংলাদেশকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ৰেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে যে পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলো মেনে চলতে হবে। এ বিচার যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে বলে আইনমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।

আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা বিচার প্রক্রিয়া ও বিধি নিয়ে জানতে চেয়েছেন। তাছাড়া আসামিপৰ যাতে তাদের বক্তব্য উপস্থাপনের ৰেত্রে এবং আইনী যুক্তিতর্ক তুলে ধরার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান, সে বিষয়ে কথা বলেছেন। তাঁরা যা জানতে চেয়েছেন, আমরা তা স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি। মন্ত্রী বলেন আসামিপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থনসহ সব ধরনের আইনী সুবিধা পাবে। আমরাও চাই এ বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যাতে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত না হয়। পরে মি. স্টিফেন পুরনো হাইকোর্ট ভবনে স্থাপিত আনত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্নাল পরিদর্শন করেন।

XS
SM
MD
LG