বিশ্বব্যাপী মানুষ যখন নতুন বছরকে আনন্দ উদ্দীপনার মাঝে বরণ করেছে সেই সময় আসাম রাজ্যের নাগরিক তালিকা প্রকাশ নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে দারুণ আশংকা দেখা দিয়েছে। এ থেকে বাদ পড়েনি রুকসা খানও। রুকসার নতুন বছরের আনন্দ ম্লান হয়ে যায় স্বামীর বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। পাড়ার মানুষের মুখে খবর পেয়ে ছুটে যান রুকসা ----দেখে স্বামী হানিফ খানের দেহ ঝুলছে গাছে । হৃদয় বিদারক সেই দৃশ্য।
রুকসা জানান, বৈধ নাগরিকদের প্রথম যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে থেকে হানিফের নাম নেই। পুলিশী পদক্ষেপের ভয়ে দুঃশ্চিন্ত গ্রস্ত হয়ে পরেন তিনি। হানিফের জন্ম ভারতে হলেও তার পরিবার আসামে এসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে । ১৯৭১ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকা তার বাবার নামও অন্তর ভুক্ত ছিল।
রুকসা বললেন, গত কয়েক মাস ধরেই হানিফ উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। তার ভয় এন আর সি-র তালিকায় তার নাম না উঠলে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যাবে এবং জেলখানায় তার ওপরে অত্যাচার করা হবে। এই ভয়ে হানিফ গত কয়েক মাস ধরে খাতে পারতেন না ভাল করে ঘুমাতেও পারতেন না।
কেবল মাত্র হানিফ নয় এরকম পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আসামে আশ্রয় নেন লক্ষ লক্ষ হিন্দু ও মুসলমান । অভিবাসন বিশেষজ্ঞ এবং সমাজকর্মী আসিফ মুনিরের সংগে বিষয়টির ওপরে আলোকপাত করেছেন। আসামের বৈধ নাগরিকদের তালিকা প্রকাশ নিয়ে কেবল মাত্র আসামে নয় এ বিষয় পশ্চিম বংগ রাজনীতি এখন উত্তপ্ত। বাংলাদেশের জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, এসব নিয়ে আসিফ মুনিরের সংগে কথা বলেছেন তাহিরা কিবরিয়া।
বিস্তারিত শোনার জন্য অডিওতে চাপ দিন।