অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ফলাফলে স্বস্তি, খুলনায় ৬৬ চীনা নাগরিক আক্রান্ত


অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুই ডোজ ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ কার্যকর, এই খবরে স্বস্তি ফিরে এসেছে বাংলাদেশে। এই আশা জাগানিয়া খবরটি যখন এলো, তখন বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মজুত প্রায় শেষ। এই মুহুর্তে মজুত আছে মাত্র চার লাখ ডোজ। ইতিমধ্যেই দেশের বেশিরভাগ টিকাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের অবস্থা হবে একই। এ নিয়ে জনমনে উদ্বেগ রয়েছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট টিকা না দেয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নানা সুত্র থেকে টিকা পাবার জন্য চেষ্টা করছে সরকার। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের গবেষণা রিপোর্ট বলছে, কোভিশিল্ড টিকার দুই ডোজ উপসর্গ বা লক্ষণগত রোগের বেলায় এটা বেশ কার্যকর। গবেষণায় বলা হয়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদানের 'রিয়েল-ওয়ার্ল্ড ডেটা' বিশ্লেষণ করে এমন পর্যবেক্ষণ পাওয়া গেছে। গবেষণা রিপোর্ট আরও বলছে, টিকা দেয়া হয়নি এমন মানুষের চেয়ে কোভিশিল্ড যাদের দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকার ৮৯ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য যে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকার কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ।

সরাসরি লিংক

ওদিকে চুয়াডাঙ্গায় ভারতফেরত এক কিশোর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় ওই অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিটে বৃহস্পতিবার রাতে এই কিশোরের মৃত্যু হয়। চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা কিশোরের নাম সাকিব উদ্দিন। সাকিব অনেকদিন ধরেই ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিল। ৯ মে সে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে আসে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় সাকিব ও তার মায়ের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে গত সাত দিনে ৪০০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছেন। এরমধ্যে সাতজনের শরীরে করোনার হদিস মিলেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে কিনা এখনও নিশ্চিত নয়।

খুলনায় নির্মিতব্য ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত ৬৬ জন চীনা নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৮৫ জন চীনা নাগরিক কাজ করেন। পাওয়ার প্ল্যান্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর জাহিদ হোসেন এটা নিশ্চিত করেছেন। এত বিপুল সংখ্যক চীনা নাগরিক কেন আক্রান্ত হলেন তা জানার জন্য আইইডিসিআরের খুলনা বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. হাসনাইন শেখ তদন্তের জন্য সেখানে গিয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন মারা গেছেন। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫০৪ জন।

XS
SM
MD
LG