অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনির যেসব বাসিন্দা টিকা নিয়েছেন, তাদের জন্য দীর্ঘ ১০৬ দিনের লকডাউন সোমবার শেষ হয়েছে। ২৬ জুন থেকে বাসার থাকার যে আদেশ দেয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সরকারি বিজ্ঞাপনে টিকা দেবার হার নির্দিষ্ট মাইলফলক অতিক্রম করলে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ানদের কোভিড-১৯ টিকা নেবার আহ্বান জানানো হয়েছিল। ঐ বার্তাটি কমিউনিটির কাছে পৌঁছেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে ১০৬ দিনের লকডাউন সোমবার প্রত্যাহার করা হয় কারণ ১৬ বছর এবং তার চেয়ে বেশি বয়সের মানুষের টিকা নেবার হার ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
গত জুন মাসের শেষ দিকের পর এই প্রথম ব্যায়ামাগার, রেস্তোরাঁ এবং সেলুন আবার খোলা হয়েছে। বাড়িতে ছোট জমায়েত এবং পার্ক ও সমুদ্র সৈকতে বড় গ্রুপের দেখা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই স্বাধীনতাগুলো কেবলমাত্র তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা টিকা নেয়া সম্পন্ন করেছেন।
শহরের বাসিন্দারা এখনও সিডনির বাইরে ভ্রমণে যেতে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হন। নিউ সাউথ ওয়েলসে টিকা গ্রহনের হার ৮০ শতাংশে পৌঁছালে এই নিয়মগুলো সহজ করা হবে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণ, যা ২০২০ সালের মার্চ থেকে ব্যাপকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল, তা পুনরায় শুরু হবে।
কিন্তু কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়বে কারণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসে টিকা নেবার হার ৯০ শতাংশে পৌঁছালে, টিকা না নেয়া বাসিন্দাদের উপর যেসব বিধিনিষেধ রয়েছে তা প্রত্যাহার করা হবে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার শহর মেলবোর্ন এবং ক্যানবেরায় লাখ লাখ মানুষ লকডাউনে রয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় মহামারী শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ১ হাজার ৪০০-র বেশি মানুষ মারা গেছেন।