অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনা ভাইরাসের টিকাদানে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে: আন্তর্জাতিক টাস্ক ফোর্স


এক ব্যক্তিকে টিকা দিচ্ছেন নার্স।
এক ব্যক্তিকে টিকা দিচ্ছেন নার্স।

উন্নয়নশীল বিশ্বে টিকাদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্ব ব্যাংক ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন দেশের টিকাদান পরিস্থিতির ওপর শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যাতে বলা হয়েছে বাংলাদেশে বর্তমানে দৈনিক প্রতি ১০০ জনে ০.১১ জন মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে। দৈনিক টিকা দেওয়ার এই হার শ্রীলঙ্কায় ১.৬৩ শতাংশ, নেপালে ০.৩৩ শতাংশ, ভারতে ০.৩১ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ০.১৯ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ নাগরিককে করোনা ভাইরাসের টিকার দুইটি ডোজ দেওয়া সম্পন্ন করতে হলে দিনে ০.৪৯ শতাংশ হারে টিকা দিতে হবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল পৃথক ভাবে বলেছে দৈনিক ৬ লাখের ওপর মানুষকে টিকা দেয়া গেলে এই বছরের শেষ নাগাদ দেশটির ৪০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।

টাস্ক ফোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশে ৪০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দিতে ১৩ কোটি ১৮ লাখ ডোজ টিকা লাগবে। এতে বলা হয়েছে বাংলাদেশে এখন যে হারে টিকা দেয়া হচ্ছে তাতে এই বছরের শেষ নাগাদ ১৯.৬৪ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া যেতে পারে। টাস্ক ফোর্স অবশ্য বলেছে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মূল সমস্যা হচ্ছে টিকা সরবরাহের ঘাটতি। এই ঘাটতি পূরণের জন্য টিকা উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে টিকা উপাদনকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টাস্ক ফোর্স।

এদিকে, শনিবার বিকেলে জাপান থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭,৮১,০০০ ডোজ টিকার চালান ঢাকায় পৌঁছেছে। এর আগে শুক্রবার রাতে চীন থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কেনা ৩০ লাখ ডোজ সিনো ফার্মের টিকা বাংলাদেশে পৌঁছায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিমান বন্দরে জাপান থেকে আসা টিকা গ্রহণকালে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ যারা এখনও পান নাই তাদের কাল-পরশুর মধ্যে টিকা দেওয়া শুরু করা হবে।

অপরদিকে, আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তথ্য মোতাবেক দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ২১৮ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৩০,৯৮০টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৯,৩৬৯ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে করোনা রোগীর শনাক্তের হার ৩০.২৪ শতাংশ।

XS
SM
MD
LG