বিশ্ব ব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারির আতঙ্কের মধ্যে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আজহা বা কুরবানির ঈদ শনিবার বাংলাদেশ সাদাসিধা ভাবে ও সীমিত পরিসরে উদযাপন করছেন মুসল্লিরা। ঈদগাহ বা খোলা আকাশের নিচে কোন ময়দানে ঈদের নামাজ আদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাদেশে শনিবার সকালে দেশের মসজিদ সমূহে ঈদ-উল-আজহার নামাজ আদায় শেষে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মুসল্লিরা পশু কোরবানি দিয়েছেন।
ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা মুনাজাত করেছেন বাংলাদেশ তথা বিশ্বের করোনা মুক্তির জন্য। করোনা ভাইরাস এবং ব্যাপক বন্যার কারনে দেশে এবারের ঈদ-উল-আজহায় পশু কোরবানি সীমিত আকারে হলেও মুসল্লিদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার অভাব ছিলনা।
ঈদ উপলক্ষে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগির জন্য অনেকেই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর বন্দর গঞ্জ ছেড়েছেন। তবে এবারের ঈদে গ্রামমুখী মানুষের সংখ্যা ছিল সীমিত। ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে তাঁকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা দিয়েছেন।
পবিত্র ঈদ-উল-আজহার অন্তর্নিহিত শিক্ষা ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড.শেখ মোহাম্মদ ইউসুফ ভয়েস অফ অ্যামেরিকাকে বলেন ত্যাগই হচ্ছে এই ঈদের মুল শিক্ষা।
এদিকে, কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর বর্জ্য সরিয়ে রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য সাতশোর বেশি যানবাহন এবং ১৮ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়ে দুপুরের পরই কাজ শুরু করেছে ঢাকার উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।