বিয়ে ধর্মীয় এবং সামাজিক একটি বন্ধন। দূরের মানুষকে কাছে রাখার স্বীকৃতি। আপন বনে যাওয়ার একটি অদৃশ্য মাধ্যম। করোনার হানা সেই বিয়েতেও পড়েছে। ঘটকদের তৎপরতাও থেমে গেছে। এই গ্রামের মেয়ে আর ওই গ্রামের ছেলে দেখা। দুই পরিবারের চিত্র পরস্পরের কাছে নিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা। সব কিছুতেই বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা।
বগুড়ার ঘটক শাহাজাহান আলী এবং রেজাউল করিম জানান, লক ডাউন চলাকালীন সময়ে তাদের পেশাগত কাজ পুরোপুরি বন্ধ ছিলো। ফলে তারা বিয়ে সাদীর কাজ করাতে পারেননি।ফলে তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে মানববেতর জীবন যাপন করছেন তারা। করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ সচেতন হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখার অনুশীলনও হচ্ছে। ফলে সামাজিক ভাবেই বিয়ের আয়োজন আপাতত বন্ধ আছে। গত আড়াই মাসে বিয়ের আসর বসেনি বললেই চলে। এমনটাই জানালেন বিয়ের রেজিষ্ট্রার আরেফ বিল্লাহ বিলু এবং আবু বকর সিদ্দিক।এক সময় করোনাকেটে যাবে। নতুন চাঁদের জ্যোৎস্নায় হেসে উঠবে পুরো দুনিয়া। আবারো বেজে উঠবে সানাইয়ের সুর। সেই দিনের প্রত্যাশা সব মানুষের।
বগুড়া সংবাদদাতা প্রতীক ওমরের প্রতিবেদন।