দেশে করোনা সংক্রমণের পরে এ পর্যন্ত জুন মাসই ছিল নিদারুণ-নিষ্ঠুরতম সময়কাল। জুনের শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ জুনও এর স্পষ্ট ছাপ রেখে গেছে করোনা সংক্রমিত রোগী মৃত্যুর উল্লম্ফনের মধ্যদিয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ পর্যন্ত এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জুন মাসেই করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯৮ হাজার ৩৩০জন। আর শুধুমাত্র জুন মাসেই মারা গেছেন ১ হাজার ১৯৭ জন।
বাংলাদেশ সরকার করোনা সংক্রমণের উচ্চঝুঁকির মধ্যেই ৩১ মে’র পর আর সরকারি ছুটি ও লকডাউনের সময়সীমা বাড়ায়নি। ৩১ মে পর্যন্ত সংক্রমিত করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ১৫৩ জন। আর ৩০ জুন এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জনে অর্থাৎ শুধুমাত্র জুন মাসেই করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৯৮ হাজার ৩৩০ জন। ৩১ মে পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল মোট ৬৫০ জন। আর শুধুমাত্র জুন মাসেই করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন ১ হাজার ১৯৭ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮৪৭ জন। উল্লেখ্য, ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য মোতাবেক, করোনা সংক্রমিত বলে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৮২ জন। এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এ পর্যন্ত দিনের সর্বোচ্চ ৬৪ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৪৭ জনে।
বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, বর্তমান সময়কালকে করোনা সংক্রমণের পিক বা সর্বোচ্চমাত্রার সময় বলা যাবে না। লকডাউনবিহীন পরিস্থিতি, ক্রমবর্ধমান স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া, অবাধ মেলামেশা, নির্দেশনা না মানা এবং কোরবানীর ঈদে মানুষের ঘরে ফেরার সুনির্দিষ্ট সব বিষয়গুলোর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কী হয়- তা বিবেচনা করতে হবে। এর আগে পিক বা সর্বোচ্চ মাত্রা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করা যাবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ।