অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কোভিড হাসপাতালটি এখন বিশ্ব মিডিয়ায়


ইতালির কাছ থেকে রিপোর্ট পাবার পর কোভিড হাসপাতাল হিসেবে স্বীকৃত রিজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়। ইতালি যাওয়া একটি বিশেষ ফ্লাইটে ২১ জনের শরীরে করোনার হদিস পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৮ জনই রিজেন্টের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে ইতালি গিয়েছিল। এরপর আরও ১৩ জনের কাছ থেকে ভুয়া সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়। শুরু হয় ঢাকা ও রোমের মধ্যে কূটনৈতিক পত্র চালাচালি। বাংলাদেশ সরকারের নজরে আসে বিষয়টি। তখনই তদন্তে নামে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। প্রাথমিক তদন্তে অনিয়ম ধরা পড়ার পর লাইসেন্সবিহীন এই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়। সিলগালা করে দেয়া হয় রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখা। মালিক শাহেদ করিমকে গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করে র‍্যাব। শাহেদ এখনো পলাতক। ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই হাসপাতালটি এখন বিশ্ব মিডিয়ায়।

ওদিকে রিজেন্ট হাসপাতালটির এই হাল দেখে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা দারুণভাবে হতাশ। কারণ গত ২৪ শে মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কূটনীতিকদের চিকিৎসার জন্য যে নোট ভারবাল পাঠানো হয় তার মধ্যে রিজেন্ট ছিল অন্যতম। ওইদিন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত, ব্রিটেন, জাপান, ইতালি ও নরওয়ের রাষ্ট্রদুত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কান্ট্রি রিপ্রেজেনন্টেটিভ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান। তখন পররাষ্ট্র সচিব ও করোনা সেলের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক হয়। তখন তাদের বলা হয় সরকার কূটনীতিকদের জন্য তিনটি হাসপাতাল বরাদ্দ করেছে। এগুলো হলো স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এভার কেয়ার হাসপাতাল ও রিজেন্ট হাসপাতাল। কূটনীতিকরা কি কি সুবিধা পাবেন তারও উল্লেখ ছিল এই নোট ভারবালে। কূটনীতিকদের জন্য আইসিইউ সুবিধাসহ রিজেন্ট হাসপাতাল ১৫ বেড বিশিষ্ট একটি ফ্লোর নির্দিষ্ট করেছে এটাও উল্লেখ করা হয়। ২রা এপ্রিল আরেকটি নোট ভারবাল পাঠিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন বলছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই রিজেন্টের নাম দিয়েছিল। উল্লেখ্য যে, মিশন প্রধান ও ডেপুটি প্রধান ছাড়া বেশিরভাগ কূটনীতিকই ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন।

করোনা সার্টিফিকেট নিয়ে প্রতারণার এক মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

সোমবার যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত ১৪ই জুন তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯৯ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৩৯১ জনের। সবমিলিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:23 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG