বাংলাদেশে হঠাৎ করেই করোনা রোগী শনাক্তের হার কমতে শুরু করেছে। সর্বশেষ সরকারি হিসেবে শনাক্তের হার এখন ১৪ দশমিক ৭৬ ভাগ। গত তিন মাসের মধ্যে এটাই সর্বনিম্ন। এক সময় বিশ থেকে পঁচিশ শতাংশের উপরে চলে গিয়েছিল। আগস্ট মাসেও শনাক্তের হার বিশ এর নিচে নামেনি। বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশে এ হার এখনও অনেক বেশি। আক্রান্তের হারের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন ১০ম স্থানে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এসব তথ্যের সঙ্গে একমত নন। তারা বলছেন, শনাক্তের হার দেখে আত্মতুষ্টির কোন সুযোগ নেই। কারণ, ২২টি জেলায় এখন পর্যন্ত পিসিআর ল্যাবই চালু হয়নি। দিনাজপুরে পিসিআর ল্যাব বিকল হয়ে যাওয়ায় চার জেলায় নমুনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া টেস্ট ফি নির্ধারণ করায় অনেকে হাসপাতালে যাচ্ছেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, টানা তিন সপ্তাহ যদি পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকে তখনই বলা যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা তা নয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমেছে। শনাক্তের হারও নিম্নমুখী। এসময় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯২৯ জন। মারা গেছেন ২৯ জন। সবমিলিয়ে চার হাজার ৪১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে। সংক্রমিত হয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার ৬১০ জন। দেশে গত ৮ই মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ১৮ই মার্চ একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। ২রা জুলাই চার হাজার ছাড়িয়ে যায় শনাক্তের সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ এর মধ্যেই ছিল। কিন্তু ৩০শে জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যু হয়।
ওদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, করোনায় এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সাত হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বেশি স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন মেক্সিকোতে। দেশটিতে এক হাজার তিনশোর বেশী স্বাস্থ্যকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন এক হাজার ৭৭ জন। বাংলাদেশে মারা গেছেন ৮৪ জন চিকিৎসক ও ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী।