অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীরা কাজে ফিরতে উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত হাজার হাজার বাংলাদেশী যারা ছুটিতে দেশে এসে করোনা ভাইরাসের কারনে দেয়া লক ডাউন এবং যাত্রীবাহী এয়ার লাইন্সের যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারনে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা এখন কাজে ফিরতে উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এ সকল বাংলাদেশিরা মধ্যপ্রাচ্য,ইউরোপে এবং উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশে তাঁদের কাজে যোগদানের জন্য যার যার গন্তব্যে যাওয়ার লক্ষ্যে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এদের মধ্যে অনেকের ভিসা এবং কাজের অনুমতি পত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অথবা শেষের পথে রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো অবশ্য জানিয়েছে সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের কয়েকটি দেশ করোনা ভাইরাসের কারনে আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের ভিসা ও কাজের অনুমতি পত্রের মেয়াদ বাড়িয়েছে । লক ডাউনের অবসানের পর অতি সম্প্রতি সরকার ঢাকা থেকে অত্যন্ত সীমিত আকারে যাত্রীবাহী বিমান চলাচলের অনুমতি দিলে এ সকল প্রবাসী পেশাজীবী ও কর্মীরা বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিতে টিকেটের জন্য ছুটাছুটি করা শুরু করেছেন। তবে সীমিত কয়েকটি এয়ারলাইন্স যাতায়াত করায় ফ্লাইটের টিকেট এখন সোনার হরিণ। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন টিকেট তো পাওয়া যাচ্ছেই না তারপরও যদি অনেক চেষ্টার পর তা পাওয়াও যায় তবে তাঁর মূল্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিন চারগুণ বেশী।

টিকেটের দাম এত বেড়ে যাওয়ার কারন সম্পর্কে ভয়েস অফ অ্যামেরিকার তরফে ট্রাভেল এজেন্সিজ এসোসিয়েশান অফ বাংলাদেশ বা আটাব এর মহা সচিবের মোহাম্মদ মাজহারুল হক ভুইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি এর জন্য সরাসরি এয়ারলাইন্স গুলোকে দায়ী করেন । বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলেছেন পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশি-বিদেশী অন্যান্য এয়ারলাইন্স গুলোকে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেয়া উচিৎ । তবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা বলেছেন করোনাকালে বেশী বিমান ওঠা নামা করেতে দিলে বিমানবন্দরে যে ভিড় হবে তাতে করোনা আক্রান্তের আশঙ্কা থেকে যাবে ।

এদিকে, কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন থেকে ফিরে আসা ২১৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে কোয়ারেন্টিনে থাকাবস্থায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের চেষ্টা করার অভিযোগে ঢাকার একটি আদালত রোববার কারাগারে পাঠিয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে তাঁরা এই ২১৯ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করছন এবং তদন্তে আপরাধের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশে আসার পর সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এ সকল প্রবাসীদের তুরাগ এলাকায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় এবং তারা সেখানে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন বলে উল্লেখ করে পুলিশ বলেছে এসকল প্রবাসীরা কুয়েত, কাতার ও বাহরাইনে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকায় সেসকল দেশের আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছিল এবং পরে করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের সাজা মওকুফ করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে ।

XS
SM
MD
LG