রোহিঙ্গারা আসছে। কেউ আর ফিরছে না দেশে। ফেরার সাহসও পাচ্ছে না। তারপরও মিয়ানমার বাহিনী বন্দুক উঁচিয়ে সতর্ক। ১৭০ কিলোমিটার সীমান্ত দিন-রাত পাহারা দিচ্ছে ওরা। দেশি-বিদেশী সাংবাদিকরা সীমান্ত ঘুরে এসে এ খবরই দিচ্ছেন। মিজানুর রহমান দিনভর বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির ঘুনধুম সীমান্ত ঘুরেছেন। তার জবানিতেই শোনা যাক সর্বশেষ পরিস্থিতি।
বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার বাহিনী স্থল মাইন পুঁতে রেখেছে। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি নিশ্চিত হয়েছে যে, বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মানব বিরোধী আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ স্থল মাইন পেতে রেখেছে মিয়ামনারের সেনাবাহিনী। হেফাজতে ইসলাম ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর এ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন সংগঠনটির মহাসচিব মওলানা জুনাইদ বাবুনগরী। ওদিকে ৪০টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ ও রাখাইনে অবিলম্বে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বর্তমানে জিমিয়ে থাকা জঙ্গিবাদ যেন মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে এজন্য সতর্ক রয়েছে পুলিশ। শনিবার জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য শিগগিরই ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার প্রয়োজন। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী