বিয়াল্লিশ হাজার রোহিঙ্গা ঢাকা-রিয়াদ সম্পর্কে কিছুটা হলেও অস্বস্তি তৈরি করেছে। রিয়াদ চায়, অবিলম্বে তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে। তাদের কথায়, এদের গন্তব্য হবে ঢাকা। কারণ বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে তারা সৌদি আরব গিয়েছিল।
অনেক দিন ধরেই দু’দেশের মধ্যে এ নিয়ে চিঠি চালাচালি চলছিল। অতিসম্প্রতি এই রোহিঙ্গাদের একটি তালিকা হস্তান্তর করায় বাংলাদেশ অনেকটা চাপের মধ্যেই পড়েছে। সৌদি আরব ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে বিষয়টি প্রথম বাংলাদেশের দৃষ্টিতে আনে। দেশটি বলছে, যেহেতু এই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করেছে সে জন্য দায় বাংলাদেশের।আগামী বুধবার ঢাকায় দু’দেশের যৌথ কমিশনের বৈঠকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপিত হবে এমন ইঙ্গিতই মিলেছে।
গেল মাসে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূতদের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
১৯৭৯ সালে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গারা সৌদি আরবে যান। তখন আশ্রয়রত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেয়া হয়। সমস্যাটা হয়েছে এখানেই। একই সময় পাকিস্তান থেকেও রোহিঙ্গারা সৌদি আরব যান। কিন্তু পাকিস্তান বার্মার নাগরিকত্ব দেখিয়ে পাসপোর্ট ইস্যু করে। পরবর্তীকালে পাকিস্তান রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট আর নবায়ন করেনি। ঢাকার কর্মকর্তারা বলছেন, এটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যদিও সৌদি আরবের ইচ্ছাতেই রোহিঙ্গারা দেশটিতে গিয়েছিল।