অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উদ্বেগজনক অবস্থায়


বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রায় সব সূচকেই পরিস্থিতির উদ্বেগজনক অবস্থা এবং অধঃগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘‘রিপোটার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স’’ বা আরএসএফ এপ্রিলের শেষার্ধে প্রকাশিত ২০২০-এর রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ১৫১তম স্থানে- যা এর আগের বছর ছিল ১৫০তম স্থানে। ২০১৮ সালে ছিল ১৪৬তম স্থানে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সক্রিয় এই সংস্থার হিসেবে অনুযায়ী, করোনার মাঝেও বাংলাদেশে অন্তত ৮ জন সংবাদমাধ্যম কর্মীকে পুলিশসহ অন্যান্যরা আক্রমণ করে গুরুতর আহত করেছে। বিভিন্ন আইনে মামলা হয়েছে অন্তত ৭ জনের বিরুদ্ধে, আর ডিটেনশনে দেয়া হয়েছে ২ জনকে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কর্মরত অপর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট বা সিপিজে বাংলাদেশের বিদ্যমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একইভাবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন নিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ ২০১৯-এ কমপক্ষে ২০ হাজার ওয়েবসাইট ব্লক করা এবং অনলাইন মাধ্যমের ওপর বিধি-নিষেধ এবং নজরদারীতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবি, বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রসহ অনেক সংস্থাই বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিম্নধারার পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ৩ মে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’।

দিবসটি উপলক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলে বাক-স্বাধীনতার সার্বজনীন অধিকার এবং গণতন্ত্র রক্ষা ও নাগরিকদের ওয়াকেবহাল আর সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমের অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকার কথা পুনর্ব্যক্ত করছে। কোভিড মহামারীর তথ্য জানানোর জন্য অক্লান্তভাবে, কষ্টকর এবং বিপদজ্জনক পরিবেশে কাজ করে যাওয়ার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং অসুস্থ হয়ে পড়া সাংবাদিকদের অবদানের জন্য তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।

এদিকে, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেছেন প্রবীণ সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া সবল-সজীব ও দৃঢ়ভিত্তির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কোন দেশেই গড়ে উঠতে পারে না।

please wait

No media source currently available

0:00 0:07:20 0:00


XS
SM
MD
LG