অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনায় আক্রান্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের স্থান এখন ২৭তম


কড়াকড়ি শিথিল করতেই হুড়মুড় করে হাজার হাজার মানুষ বেড়িয়ে পড়েছেন। যে যেভাবে পারেন তা নিয়ে ছুটছেন প্রিয়জনদের নিয়ে ঈদ উদযাপনে গ্রামের দিকে। শুরু থেকে এ নিয়ে কখনো কড়াকড়ি কখনো শর্তযুক্ত আবার কখনো নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে লোকজনকে ঢাকা ছাড়তে বারণ করা হয়।

শুক্রবার কোন ঘোষণা ছাড়াই কড়াকড়ি একদম শিথিল করা হয়। গণপরিবহন না থাকলেও মানুষজন মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়ি কিংবা ট্রাকে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এখানে স্বাস্থ্যবিধি একদম উপেক্ষিত। সামাজিক দূরত্ব দূরের কথা। মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও স্বনামখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এবি এম আবদুল্লাহ এতে বিপদের আশংকা দেখছেন। এই সংবাদদাতাকে তিনি বলেন, ঢাকা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের হটস্পট। এখান থেকে যারা যাচ্ছেন তারা যে এই ভাইরাস বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন না এর গ্যারান্টি কোথায়? তিনি বলেন, একদিন গ্রামগুলো অনেক নিরাপদ ছিল। এখন আর নিরাপদ থাকবে না।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১ হাজার ৮৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২০ জন। প্রতিদিনই বাংলাদেশের অবস্থান পাল্টাচ্ছে। আক্রান্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের স্থান এখন ২৭তম। এই মুহূর্তে সরকারি হিসেবে ৩২ হাজার ৭৮ জনের শরীরে করোনার সন্ধান মিলেছে। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা অনেক বেশি। করোনা উপসর্গ নিয়ে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। তাদের নাম সরকারি তালিকায় লিপিবদ্ধ হচ্ছেনা। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে করোনায় সশস্র বাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত ১০২০ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৯৩৩ জন বিভিন্ন সিএমএইচ-এ চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। বেশ কিছু শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের একজন পরিচালক গতরাতে মারা গেছেন।

ঈদের জামাত ঘরে পড়া যাবে কিনা এ নিয়ে বিতর্কের কিনারা হয়নি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলেছে, সংক্রমণ রোধে এবার খোলাস্থান বা ঈদগাহে নামাজ পড়া যাবে না। মসজিদে বা বাড়িতে পড়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ইসলামী চিন্তাবিদদের মধ্যে এ নিয়ে দুটি মত রয়েছে। একটি হলো হানাফি মতামত। যেখানে বলা হয়েছে ঈদের সালাত সামাজিক ইবাদত। সেজন্য এটা ঘরে পড়া যাবেনা। অন্যদিকে কোন কোন চিন্তাবিদ বলছেন, কেউ যদি বাইরে পড়ার সুযোগ না পায় তাহলে সে ঘরে ঈদের সালাত আদায় করতে পারবে।

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।

XS
SM
MD
LG