বাংলাদেশে করোনায় সংক্রমণ আর মৃত্যু দুটোই এখন আকাশ ছোঁয়া। প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। একদিন সংক্রমণে। অন্যদিন মৃত্যুতে। রোববারের খবর, এক লাফে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিপূর্বে এতো মৃত্যুর খবর বাংলাদেশ শুনেনি। এদিন শনাক্ত হয়েছেন ২৭৪৩ জন। সব মিলিয়ে ৬৫ হাজার ৭৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর কাফেলায় যোগ হয়েছেন ৮৮৮ জন।
রাজধানীতে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ ও ভেন্টিলেশনের জন্য রোগীরা আহাজারি করছেন। ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। পরিস্থিতি এমনই আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে বিশেষ হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়েছে। একজন হলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর। তিনি বান্দরবানে করোনায় আক্রান্ত হন। অপরজন সিলেট সিটি করপরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান। তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দু’জনকেই ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে আইসিইউ সুবিধা খুবই অপ্রতুল। সারা দেশে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আইসিইউ বেড রয়েছে ৩৯৯ টি। ডায়ালাইসিস বেড রয়েছে ১০৬ টি। আইসোলেশন বেড রয়েছে ১৩ হাজার ৯৮৪ টি। ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে মাত্র ৩০০ টি। এছাড়া নন-কোভিড রোগীর জন্য সারাদেশে ৫০০ টি আইসিইউ বেড রয়েছে।
ওদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে এবছর জিডিপি আড়াই শতাংশে নেমে যাবে বলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ অভিমত দিয়েছে। রোববার এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সংস্থাটি বলেছে, করোনায় দেশের ১৫ টি খাতের মধ্যে পাঁচটি খাতে সরাসরি প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে পোশাক ও রেমিটেন্স অন্যতম। একদিন আগেই আইএমএফ বলেছিল বৈশ্বিক মহামারীর কারণে বাংলাদেশের জিডিপি হবে তিন দশমিক আট শতাংশ। বছরের শুরুতে বলা হয়েছিল সাত দশমিক চার শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর রোববার দুপুর থেকে চালু হয়েছে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য। এর আগে মে মাসের গোঁড়ার দিকে বাণিজ্য চালু হলেও স্থানীয় জনগণের প্রতিবাদের মুখে তা দু’দিন পর বন্ধ হয়ে যায়।