অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশবাসীকে ঘরে বসে ঈদ উদযাপনের আহ্বান


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসের কারনে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে ঘরে বসে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।
মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে রোববার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন এবছর এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঈদ উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এই দুঃসময়ে নিজেদের দরিদ্র প্রতিবেশী, এলাকাবাসী বা গ্রামবাসীদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য সমর্থবানদের প্রতি তিনি আহবান জানান। করোনা ভাইরাস এবং আম্পানে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান ।

এদিকে বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো এবার করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এক মাস রোজার পর আগামী কাল সোমবারঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের মুসলমানরা। কোন গন পরিবহন না থাকলেও করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ছোট বড় সকল শহর থেকে স্বাস্থ্য বিঁধি উপেক্ষা করেই পায়ে হেটে এবং ছোট ছোট যানবাহনে করে হাজার হাজার মানুষ স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়ীতে গেছেন। করোনার কারনে এবারই প্রথম স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদের জামাত শুধু মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে কোন ঈদগাহ কিংবা খোলা মাঠে নয়।

অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে থেকে কেড়ে নিয়েছে ঈদের আনন্দ। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে ভেঙ্গে যাওয়া ভেড়ি বাধগুলো মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষ এখনো কোন উদ্যোগ না নেয়ায় বহ এলাকায় ঘরবাড়ী এখনো পানির নিচে। খোলা আকাশের নিচেই তাই বাধ্য হয়ে মানুষকে থাকতে হচ্ছে এবং একই সঙ্গে রয়েছে খাদ্য সঙ্কট। কিছু কিছু এলাকার মানুষ নিজেরাই বাধ মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আম্পান দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা গেছে।
XS
SM
MD
LG