চীন তার কথায় কোভিড ১৯ কে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহারের জন্য অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে।
অস্ট্রেলিয়া করোনাভাইরাসের উৎপত্তির বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত এবং এর ফলাফল প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে সবার আগে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী এই মহামারির জন্যে চীনকে দোষারোপ করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ম্যারিস পেইন বিশ্ব স্বাস্থ্য বিষয়ক গতকাল পাশ হওয়া প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন যেখানে করোনাভাইরাস মহামারি সম্পের্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি ভাবে সাড়া দিয়েছে তার একটি সামগ্রিক এবং স্বাধীন মূল্যায়নের দাবি জানানো হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অন্যান্য সদস্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশের কাছে এই প্রস্তাবটি পেশ করেন। পেইন এটিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বিজয় বলে বর্ণনা করেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঝাও লিঝিয়ান বলেন যে, অস্ট্রেলিয়া যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক ঐকমত্যে ফিরে আসে তা হলে চীন এই তদন্তকে স্বাগত জানাবে। তিনি বলেন যে, বেইজিং সব সময়ে এই মহামারির একটি সামগ্রিক পর্যালোচনাকে সমর্থন করেছে তবে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নেতৃত্বে হতে হবে এবং নিরপেক্ষ ও পেশাগত মানে পরিচালিত হতে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলছেন যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিরপেক্ষ নয়। তিনি এই আন্তর্জাতিক সংস্থাকে এই বলে অভিযুক্ত করেছেন যে, সংস্থাটি চীনকে আড়াল করছে যে চীন, তাঁর কথায় , এই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংকটের জন্য দায়ী। গতকালই ট্রাম্প হুমকি দেন যে তিনি স্থায়ী ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়ন বন্ধ করে দেবেন। এরই মধ্যে তিনি এর অর্থায়ন সাময়িক ভাবে বন্ধ রেখেছেন। গতকাল চীন ট্রাম্পকে এই বলে অভিযুক্ত করে যে, তিনি নোংরা অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র তার আন্তর্জাতিক দায়িত্ব অবজ্ঞা করছে।
করোনাভাইরাস বিষয়ক মূল্যায়নের কোন তারিখ এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি তবে চীন বলছে যে এই মহামারি শেষ হবার পর এ ব্যাপারে মূল্যায়ন করা উচিৎ হবে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই বলছেন যে টিকা আবিস্কারের পরেও এই মহামারি শিগগিরই শেষ হবে না।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসেবে অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ৪৯ লক্ষেরও বেশি লোক এতে সংক্রমিত হয়েছে এবং মারা গেছে তিন লক্ষ তেইশ হাজারেরও বেশি মানুষ। চীনের জিলিয়ান প্রদেশে নতুন করে এই রোগের সংক্রমণ ঘটছে। ব্রাজিল , পেরু এবং মেক্সিকোতেও রোগের বিস্তার ঘটছে। ইউরোপে এর সংক্রমণ থেমে গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে তা কমে এসছে। তবে আফ্রিকায় নতুন সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
