অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প করোনা প্রতিরোধে প্রস্তুত


বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী ক্যাম্প কক্সবাজারে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন আইএসসিজি’র নেতৃত্বে ইন্টারসেক্টর কোভিড-১৯ রেসপন্স এন্ড প্রিপারনেন্স প্লান প্রস্তুত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইএসসিজি’র মুখপাত্র সৈকত বিশ্বাস।

ইতোমধ্যে শরণার্থী শিবিরে স্বাস্থ্য সেবা এবং জরুরী ত্রাণ কার্যক্রম ছাড়া বাকি সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া চালু করা হবে না বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত শরণার্থী শিবিরে করোনা ভাইরাসের কোন সংক্রমণ ঘটেনি। তাই শরণার্থী শিবিরে সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশী-বিদেশী মানবিক সেবা কর্মীদের উপর যাতায়াত সীমিত করা হচ্ছে।

যেসব বিদেশী মানবিক কর্মী ইতোমধ্যে বিদেশ ভ্রমণ করে এসেছেন তাদের হোম কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

বিদেশী মানবিক কর্মীরাও এই নির্দেশনা মেনে চলছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র লুইস ডনোভান।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো হয়েছে শরণার্থী শিবিরে। তবে সব ধরণের গণ জমায়েত এড়িয়ে এই সচেতনতার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মতো এতো ঘনবসতিপূর্ণ স্থান যে কোন সংক্রমণের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সাবধানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সচেতনতা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র লুইস ডনোভান।

রোহিঙ্গারা যাতে কোন ভাবেই ক্যাম্প থেকে বাইরে যেতে না পারে, সেজন্য চেকপোস্টগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তবে কক্সবাজারে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার সুযোগ তৈরি না হওয়াকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার থেকে মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিলের রিপোর্ট।

XS
SM
MD
LG