বাংলাদেশের কক্সবাজারে প্রথম একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। মধ্যবয়সী ঐ মহিলা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায় মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, গত ২২ মার্চ ঐ মহিলা করোনা আক্রান্ত কিনা, তা পরীক্ষা করতে ঢাকাস্থ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট সংক্ষেপে (আইইডিসিআর) এ নমুনা পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার ঐ রোগীর রিপোর্ট করোনা পজিটিভ বলে পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সৌদি আরব থেকে ওমরা পালন শেষে তিনি এই মাসের মাঝামাঝি দেশে আসেন। গত ২১ মার্চ জ্বর, কাঁশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীটি মৃত্যু হয়েছে বলে বিকালে সামাজিক মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যু নিশ্চিত করেননি।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল এবং বেসরকারী হাসপতালগুলোতে জ্বর, কাঁশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমশঃ বেড়েই চলছে।
এদিকে কক্সবাজারের একটি বেসরকারী হাসপাতালেও একজন রোগীর করোনার লক্ষণ নিয়ে চিকিৎসকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
বেশ কয়েকজন চিকিৎসক এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, কক্সবাজারে করোনাভাইরাস সনাক্তের প্রয়োজনীয় কিট ও সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) না থাকায় চিকিৎসকদের মধ্যেও শংকা বিরাজ করছে। চিকিৎসকদের মধ্যে কেউ কেউ ইতোমধ্যে কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন বলেও জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন, কক্সবাজার থেকে সন্দেহভাজন আরো বেশ কয়েকজন করোনা রোগীর স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য ঢাকাস্থ আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা ছড়ানো ঝুঁকি বেশি মনে করছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। কক্সবাজার থেকে মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিলের রিপোর্ট।