অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চট্টগ্রামে গত দুই দিনে পুলিশসহ ১৭জন করোনায় আক্রান্ত


বাংলাদেশের চট্টগ্রামে গেল দুই দিনে দুই পুলিশ সদস্যসহ ১৭জনের শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ পেয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা। এ পর্যন্ত এক হাজার ১৪জনের নুমনা পরীক্ষার পর ৩৬জনের শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ- বিআইটিআইডিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নমুনা পরীক্ষার পর ৩৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস অস্থিত্ব মেলে। কোভিড ১৯ সংক্রামিত রোগীদের মধ্যে শিশুসহ এ পর্যন্ত চারজন মৃত্যু হয়েছে। যারা বেঁচে আছে তাদের মধ্যে লক্ষীপুর এবং নোয়াখালী জেলার দুইজন করে চারজন এবং চট্টগ্রামের ২৮জন স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

এদিকে চট্টগ্রামে যারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা। সংক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন উপজেলা দুইটি লকডাউন ঘোষণা করেছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জেলা সদরসহ কক্সবাজার এবং বান্দরবানের সাথে সড়ক যোগাযোগ।

এদিকে টানা লকডাউন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশী সমস্যা তৈরী হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। বন্দরের বহি:নোঙ্গর এবং জেটিতে থাকা ১২৪টি জাহাজের মধ্যে পণ্য উঠানামার কাজ হয়েছে মাত্র ৬১টি জাহাজে। ফলে দিনের পর দিন পণ্যবাহী এসব জাহাজ অলস বসে থাকায় প্রতিদিন তাদের বড় ধরনের জরিমানা গুনতে হচ্ছে বলে জানান শিপিং এজেন্টরা। এদিকে লকডাউনের কারনে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল কমে যাওয়ায় বন্দরে আটকা পড়েছে ৫০ হাজার পন্যবাহী কন্টেইনার।

XS
SM
MD
LG