বাংলাদেশে বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য দু’দিন আন্দোলন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে ১৪ই অক্টোবর নির্ধারিত তারিখে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের পক্ষে ১৫তম ব্যাচের ছাত্র মাহমুদুর রহমান এই ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনের আগে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি মেনে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের মুখে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ১০ দফা দাবি মেনে নেন।
রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, শুধু ঘোষণা দিলে চলবে না। বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এই অবস্থায় শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে বলা হয়, ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হবে। পরে তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদের স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে। আবরার হত্যা মামলার সব খরচ বুয়েট প্রশাসন বহন করবে। বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
সব দাবি মানার পরও কেন আন্দোলন- প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার খুনিকে খুনি হিসেবেই দেখে। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওদিকে বুয়েট প্রশাসন অনিয়মিত ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের রুম সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।